
নদিয়ার তৃণমূল নেতা খুনে এখনও অভিযোগ দায়ের হয়নি !
২৪ আওয়ার্স টিভি, ওয়েব ডেস্ক :নদিয়ার তৃণমূল নেতা খুন। কিন্তু নওদার খুনের ঘটনার এখনও কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। সূত্রের খবর , বিধায়ক তাপস সাহা আজ শুক্রবার সকালে তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নওদা থানার উদ্দেশ্যে যান । সেখানে গিয়ে সকালেই অভিযোগ করবেন । এই ঘটনার জেরে গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ উঠে আসছে। বিধায়ক তাপস সাহা জানান , “গত বিধানসভা নির্বাচনে আমি নারায়ণপুর ১ ও ২ থেকে লিড পেয়েছিলাম । ২০ হাজার ভোটে লিড পেয়েছিলাম। জেলা পরিষদের সদস্যা তৃণা সাহা ভৌমিক বিজেপির হয়ে ভোট করিয়েছিলেন । মতিরুলকে তিনি বলেছিলেন চুপচাপ বসে থাকতে। কিন্তু তিনি তা একদমই শোনেননি। এর পর থেকেই শুরু হয়ে যায় শত্রুতা। ইট ভাটা নিয়েও গন্ডগোল হয়। হাবিব বলে একজন ব্লক সভাপতি এর সঙ্গে রয়েছে।” অর্থাৎ এখানে জেলা পরিষদের সদস্য, হাবিবের নাম উঠে এসেছে ।
ইটভাটার দখলকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরে খুন। এমনটাই অভিযোগ করছেন সংখ্যালঘু সেলের সম্পাদক মিঠু সাহু । এছাড়াও তিনি বলেন, “আমাদের জেলা পরিষদের সদস্যা তৃণা সাহা ভৌমিক আর হাবিবের শেয়ার রয়েছে ওই ইটভাটায়। তাঁরাই চক্রান্ত করে এসব করেছেন। হাবিব নদিয়া ক্রিমিন্যাল।” উল্লেখ্য , বৃহস্পতিবার নদিয়ার নারায়ণপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বামী মতিরুল ইসলাম ব্যক্তিগত কাজে মুর্শিদাবাদের নওদায় গিয়েছিলেন। এমনকি মতিরুল নিজেও করিমপুর ২ ব্লকের তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ছিলেন। ছেলে নওদার একটি বেসরকারি স্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। সে হোস্টেলে থেকেই পড়াশোনা করে । মতিরুল তাকে দেখতে মাঝেমধ্যেই নওদায় যেতেন । তবে পুলিশের অনুমান দুষ্কৃতীরা মতিরুলের গতিবিধি সম্পর্কে জানত।
বৃহস্পতিবার তিনি সন্ধ্যায় বাইকে করে বাড়িতে ফিরছিলেন । সূত্রের খবর , বাড়িতে ফেরার পথেই দুষ্কৃতীরা তাঁর পথ আটকায়। তাঁকে লক্ষ্য করে প্রথমে বোমা ছোড়ে । এরপর তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় বাইক থেকে পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে দুষ্কৃতীরা গুলি করে । স্থানীয় বাসিন্দারা গুলির শব্দ শুনেই ছুটে এলে আসে । সেখান স্থানীয় বাসিন্দারা আসায় দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় । আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে প্রথমে আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায় । সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে থেকে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সূত্রের খবর , চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে ওই তৃণমূল নেতার মৃত্যু হয়েছে । এই ঘটনায় রাজ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।