‘পুরনোদের পিছনের সারিতে রাখা চলবে না’, মন্তব্য সৌগত রায়ের

Read Time:3 Minute

২৪ আওয়ার্স টিভি ওয়েব ডেস্ক : তৃণমূল কংগ্রেসে আদি-নব্য নিয়ে এবার সরব হলেন সৌগত রায় । তিনি বলেন, ‘যাঁরা ২০০৯-এর আগে ছিলেন তাঁদের গুরুত্ব দিয়ে দলের সংগঠন করতে হবে’। সৌগত রায়ের গলায় এবার অন্যরকম সুর। ২০২২ এ একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে, গ্রেফতার হন তৃণমূলের হেভিওয়েটরা। এরপর থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে আরও সরব হয় বিরোধীরা। তখন দলের ইমেজ রক্ষার্থে বারবার সৌগত রায়ের মতো বর্ষীয়ান নেতারা বলে এসেছেন, কেউ কেউ দুর্নীতি করলেও পুরো দল চোর নয় ! এবার সৌগতর গলায় অন্যরকম সুর। ‘২০০৯-এর কর্মীরা কিছু পাওয়ার আশায় দল করতেন না। তাঁদের মধ্যে নিষ্ঠা অনেক বেশি ছিল। পরে হড়পা বানের মতো দলে লোক ঢুকেছে, তার নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত’। এছাড়াও তিনি বলেন, ‘নতুনরা এসেছেন বলে পুরনোদের পিছনের সারিতে রাখা চলবে না’। মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের। কিন্তু তিনি পরিষ্কার করে বলছেন ,পুরনোদের সামনে রাখার কথা এবং নতুনদের বের করে দেওয়ার কথা তিনি বলছেন না। তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায় বলেন, ‘যাঁরা সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাঁদেরই প্রথম সারিতে থাকা উচিত’ ! ২০০৬-২০০৭ সালে নন্দীগ্রাম ও সিঙ্গুর আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এ রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস জমি পোক্ত করে।

একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় সৌগতকে বলতে শোনা গিয়েছে, তিনি ব্যথিত হন, যখন দেখেন দলের কিছু লোক দুর্নীতি করেছে। সেই সঙ্গেই তিনি জানান, ছোট থেকে যাঁদের দেখেছেন, তাঁরা কবে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে গেল, তা তিনি টের পাননি। এই সব ঘটনা তাঁকে দুঃখ দেয় ।এরপর ২০১১-র বিধানসভা ভোটে ১৮৫টি আসনে জিতে বাম শাসনের পতন ঘটিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১৬-র বিধানসভা ভোটে তিনি ২১১ টি আসনে জেতেন। এরপর ২০২১ এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আসে বিশাল জয় নিয়ে। ২১-এর নির্বাচনের আগে তৃণমূল ত্যাগ ও গেরুয়া শিবিরে যে যোগদানের হিড়িক পড়েছিল তাতেও ফুলস্টপ পড়ে। বরং শুরু হয় ঘরওয়াপসি। ‘তৃণমূলের দু’একটা লোক চুরি করেছে। তবে বেশিরভাগটাই ভাল’, দলের অন্দরে দুর্নীতি নিয়ে আগেও মুখ খুলেছিলেন, আবারও একই সুরে কথা বলতে শোনা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা সৌগত রায়কে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *