
এজলাস থেকেই ফিসফিসিয়ে পঞ্চায়েতের ‘দাওয়াই’ !
২৪ আওয়ার্স টিভি, ওয়েব ডেস্ক : শুক্রবার ফের অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল আদালতে পেশ করা হয়েছিল । তাঁকে বিচারক ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন । এদিকে পঞ্চায়েত ভোটও এগিয়ে আসছে। আর বীরভূমের তৃণমূল নেতা, এখনও জেলবন্দি । তিনি কবে জামিন পাবেন সে বিষয়ে কোনও ধারনা নেই । কিন্তু তাঁকে বাদে দিয়ে কি আর রাজনীতি করা যায় ? বীরভূমের কেষ্ট আদালতে বসেও রাজনীতি ভুলছেন না । শুক্রবার বিচারক এজলাস থেকে উঠে যাওয়ার পরই অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরা সেখানে ঢুকে পড়েন। সূত্রের খবর , সতর্কতার ভঙ্গিতেও তার অনুগামীদের সঙ্গে ফিসফিস করে কথা বলেন । আদালত চত্বরে এই প্রথমবার নয় কেষ্টর রাজনীতি-কথা । এর আগেও একবার আদালত থেকে বেরনোর সময় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে । তখন দলীয় কর্মীদের পঞ্চায়েতে ভাল ভাবে কাজ করার কথা বলেন ।
এদিন অনুব্রত মণ্ডলকে বেলা সাড়ে এগারোটা সময় এজলাসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । সেই সময় তাঁর পিছন পিছন বীরভূমের বেশ কয়েক জন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা এজলাসে ঢুকে পড়েছিলেন । বিচারক খানিক ধমকের সুরেই সতর্ক করে সেই সময় বলেন, ‘এরা কারা? বিচারক ওই তৃণমূল নেতা কর্মীদের এজলাস থেকে বের করে দেওয়ার করার কথা বলেছিলেন । তবে কেষ্টবাবু এদিন বেশ সাবধান ছিলেন । এমনকি কেষ্ট তার দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ফিসফিসিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা বললেন ।
সূত্রের খবর , তাঁকে একটি লেটার প্যাডে সই করতে দেখা যায় । কারণ তিনি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির পদে রয়েছেন । আর এদিকে পঞ্চায়েত ভোটও এগিয়ে আসছে। এমন অবস্থায় বীরভূম জেলার তৃণমূলের সভাপতির কেষ্ট এখন বীরভূমে নেই । তাঁকে ছাড়া পঞ্চায়েত ভোট ভাবতে পারে না বীরভূমবাসি । আজ তিনি খুব সতর্ক ছিলেন। যখন কেষ্ট তৃণমূল নেতা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিল তখন সে তাঁর চারিপাশে চোখ রাখছিলেন, যে কোনও ব্যক্তি বা সংবাদ মাধ্যম তাঁদের কথা শুনতে পাচ্ছেন কি না ।