পায়ে হেঁটে পুরীর মন্দিরে গেলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু

24Hrs Tv, ওয়েব ডেস্কঃ সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদ, দেশের এক নম্বর নাগরিক এর পরেও তিনি যে মাটির মানুষ তা বোঝালেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আর পাঁচজন সাধারণ ভক্তের মতোই লম্বা রাস্তা হেঁটে পৌঁছলেন পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে। শুধু নিরাপত্তার কারণে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন দেহরক্ষী।
দেশের রাষ্ট্রপতি আসছেন প্রস্তুতি কম ছিল না! নিরাপত্তার বিষয় যেমন ভাবার, তেমনই ব্যবস্থাপনা আরও নিখুঁত করার দিকেও জোর দিয়েছিলেন পুরীর জগন্নাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার পুরীর গ্র্যান্ড রোডে দীর্ঘ সময় ধরে ট্রাফিক প্রায় বন্ধ ছিল রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে। ব্যারিকেড-ঘেরা রাস্তা ছিল প্রায় ৩ কিলোমিটার। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এই রাস্তা দিয়ে দর্শনার্থীদের প্রবেশ ছিল নিষিদ্ধ এমনটাই জানা গিয়েছে।
সকলকে চমকে দিয়ে দ্রৌপদী মুর্মু নিজের বিলাসবহুল গাড়ি থেকে নামেন। ওড়িশার ঐতিহ্যবাহী সম্বলপুরী সিল্কের শাড়ি পরেছিলেন তিনি। সকলের সাথে তাঁর ব্যবহার ছিল একেবারেই কাছের মানুষের মতো। তিনি নিয়ম মেনে পুজো দিলেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে। পুজোর শেষে পুরীর রাজ পরিবারের সঙ্গে রাজভবনে মহাপ্রসাদ গ্রহণ করেন দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি ভুবনেশ্বরে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, রাজ্যপাল গণেশী লাল-এর সঙ্গে দেখা করেন। মন্দিরের প্রেসিডেন্ট লেখেন, “মন্দিরের পবিত্র গর্ভগৃহে দেবতাদের দর্শন করে খুব খুশি। দেশ-দশের কল্যাণের জন্য পুজো দিয়েছি। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে প্রার্থনা করেছি।” নিজেকে সাধারণ পুণ্যার্থী হিসেবেই মেলে ধরলেন দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *