চাকরিপ্রার্থীদের পাশে বসে ক্ষোভ উগরে দিলেন রুদ্রনীল-ভারতী ঘোষ !

24 Hrs Tv , ওয়েব দেস্কঃ একটা পুজো কেটে গেল। এখনও রাস্তাতেই আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীরা। কবে মিলবে চাকরি? তার জন্যই ঠায় অপেক্ষায় তাঁরা। অন্তত সরকার একটি নোটিফিকেশন জারি করুক, সেই আশা নিয়েই তাঁরা ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বসে রয়েছেন। এরই মধ্যে, শনিবার শহরে পুজোর কার্নিভাল। তাঁদের দাবি , মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেন কার্নিভালে যাওয়ার সময় একবার তাঁদের সঙ্গে দেখা করে যান। এবার চাকরিপ্রার্থীদের কাছে এল পুলিশের চিঠি। আগামিকাল কার্নিভাল। তাই, ধর্নায় বসা যাবে না। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে আগামিকাল ধর্নায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, ৫৭২ দিন ধরে চলছে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন। এদিন বিকেলে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন রুদ্রনীল ঘোষরা। তাঁদের বিজয়ার শুভেচ্ছা জানান। এমনকি মিষ্টিমুখও করান। তাঁদের খোঁজখবর নেন। আগামিকাল ধর্নায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, “যাঁরা সত্যি কথা বলছেন, তাঁদেরই উঠে যেতে বলছে এরা। রাস্তায় বসে যাঁরা প্রতিবাদ করছেন, তাঁদের উঠে যেতে বলছে। আর যাঁরা রাস্তায় নেমে বিরোধিতা করছে (বিজেপি), যাঁরা মানুষের কণ্ঠস্বর নিয়ে কথা বলছে, তাঁদের তো মেরে ফেলেছে। এটাই তো চলছে। যেখানে সত্যি বেরিয়ে আসছে, সেখানেই প্যান্ডেল করো, টুনি লাইট দেখাও, লোককে চমকে সত্যিটাকে ঘিরে দাও।”রুদ্রনীল ঘোষের সঙ্গে এদিন ধর্মতলায় এসেছিলেন বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষও। তিনিও পুলিশের চিঠির বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যে রাস্তা দিয়ে যাবেন, সেই রাস্তায় যদি ১৪৪ ধারা জারি করা হয়, তাহলে এরাও যেমন উঠে যাবে, তেমনি মুখ্যমন্ত্রীও মাত্র তিনজন লোক নিয়ে হাঁটতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী যদি রাস্তা দিয়ে অনেক লোক নিয়ে যেতে পারেন,তাহলে এরাও এখানে বসতে পারেন।পুলিশ কোনওভাবেই এদের উঠে যেতে বলতে পারে না। এদের সঙ্গে কোনও অস্ত্র নেই। আদালত যখন বলেছে, পুজোর সময় এরা বসতে পারেন, তাহলে এদের ধর্না আইনত ন্যায়সঙ্গত।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *