আবারো রত্না বনাম বৈশাখী কেন্দ্রে শোভন চট্টোপাধ্যায়

Read Time:2 Minute

শোভন বৈশাখী রত্না তরজাতে মেতে রয়েছে এই মুহূর্তের রাজ্য রাজনীতি। হাসপাতালের সুপারকে শোভন জানিয়ে দেন , তাঁর মেডিকেল রিপোর্ট দেখার অধিকার থাকবে শুধুমাত্র বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছিলেন, তাঁর চিকিৎসার কোন খবর যেন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় এবং সন্তানরা জানতে না পারেন। তবে কোনকিছুতে কর্নোপাত না করে এবার পাল্টা পদক্ষেপ নিতে তৈরি রত্না চট্টোপাধ্যায়ও।

নারদ মামলায় বাকি ৩ জনের সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ নিজাম প্যালেসে ছুটেছিলেন স্ত্রী রত্না। অন্যদিকে বান্ধবী বৈশাখীও কিছু কম যান না। নিজাম প্যালেসেই থেমে থাকেননি, তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সির সামনেও। জেলের গেটেই দাঁড়িয়ে কাতর আর্তিতে অনুরোধ করেছিলেন তাঁকে যেন অন্তত একবার ভেতরে যেতে দেওয়া হয়। শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেদিনই শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং মদন মিত্রকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। ডিভোর্সের মামালা চললেও, বুধবার হাসপাতালে অসুস্থ স্বামীকে দেখতে গিয়েছিলেন স্ত্রী রত্না। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে স্বামীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। কিন্তু এরপরই হাসপাতাল সুপারকে চিঠি দিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় অনুরোধ করেন, তিনি নিজে অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত তাঁর স্ত্রী এবং ছেলে মেয়েদের যেন তাঁর কাছে আসতে না দেওয়া হয়। এমনকি তাঁর চিকিৎসার কোন খবরও যেন তাঁদের না দেওয়া হয়।

এই কথায় কোনরূপ কর্ণপাত না করেই রত্না চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘উনি এখনও আমরা স্বামী। আমাদের ডিভোর্স কিন্তু এখনও হয়নি, মামলা চলছে। আমরা পরিবারের সদস্য হয়ে যদি তাঁর কেবিনে না যেতে পারি, তাহলে কেন বৈশাখী সেখানে যাবে? আমিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে শোভনের কেবিনে বৈশাখীর প্রবেশ বন্ধ করার দাবি জানাব’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *