“দিদির দূত” কর্মসূচীতে অভিযোগ জানাতে গিয়ে গালে পড়ল চড় !

Read Time:5 Minute

২৪ আওয়ার্স টিভি, ওয়েব ডেস্ক : দিদির দূত খাদ্যমন্ত্রী রথিন ঘোষের কাছে অভিযোগ জনাতে এলে অভিযোগকারীকে মারধর করে তৃণমূলের কর্মীরা। আক্রান্তের নাম সাগর বিশ্বাস। বাড়ি ইছাপুরনীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাইবনা গ্রামে। এদিন সকালে মন্দিরেপুজো দিয়ে দিদির সুরক্ষা কবজ শুরু করে খাদ্যমন্ত্রী রথীনঘোষ। ইছাপুর নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যমগ্রাম বিধানসভার অধীন। খাদ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাতে এলে এঘটনা ঘটে। উল্লেখ্য ,মন্ত্রী রথীন ঘোষের সামনেই ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’-এর অভিযোগ জানাতে এসে আক্রান্ত হতে হল স্থানীয় এক বাসিন্দাকে । অভিযোগের তীর শাসকদলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত সাগর বিশ্বাসকে মন্ত্রীর সামনেই রীতিমতো চড় মেরে ধাক্কা দিতে দিতে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুর নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের সাইবনা এলাকায় । এমনকি সংবাদমাধ্যমের সামনে আক্রান্ত যুবক যাতে মুখ খুলতে না পারে,তারও ব্যবস্থা করার আপ্রাণ চেষ্টা করেন তৃণমূল কর্মীরা।যদিও পরে তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে এই নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন।প্রথমে বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমের থেকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পরে আক্রান্ত যুবকের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে নেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ।

একের পর এক ‘দিদির দূত’- দের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে । দেবাংশু ভট্টাচার্য, শতাব্দী রায়, কুণাল ঘোষ, অসিত মালের পর এবার বিক্ষোভের মুখে গলসির তৃণমূল বিধায়ক । পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’ নেপাল ঘোড়ুই পড়লেন। গ্রামবাসীদের সঙ্গে দলীয় কর্মীদেরওবিক্ষোভের মুখে খোদ তৃণমূল বিধায়ক! তৃণমূল বিধায়ককে গ্রামেই ঢুকতে না দেওয়ার দাবি বিক্ষোভকারীদের।আক্রান্ত সাগর বিশ্বাসের অভিযোগ , ‘এরকম পরিবেশ থাকলে তো কেউ কোনও কথাই বলতে পারবে না। রাস্তার বেহাল দশা, রাস্তা এবং মন্দিরের বেহাল দশা, মন্দির কমিটির হয়ে আমরা বলতে গিয়েছিলাম। সেখানে সকলেই ছিল।’ পরে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেছেন, ‘বাড়ি পাওয়ার ব্যাপার ছিল, এরা অনেকে অভিযোগ করছেন পাননি, ব্যাপার হচ্ছে এদের ব্যক্তিগত গণ্ডগোলে তো আমি মাথা গলাবো না, তাঁর বা অন্য কিছু, সেটা তাঁদের নিজস্ব ব্যাপার।’

যে কর্মসূচির নাম দিদির সুরক্ষা কবচ সেই কর্মসূচির উদ্দেশ্য় মানুষের অভিযোগ শোনা এবং সমাধানের পথ দেখা । কিন্তু, সেই কর্মসূচিতেই খারাপ দিক নিয়ে অভিযোগ জানাতে গিয়ে খেতে হল চড় ! গোটা বিষয়টি নিয়ে ব্যক্তিগত সমস্যার জেরে এই ঘটনা বলে মন্তব্য করেন রথীন ঘোষ। ঘটনার প্রতিবাদে সুভাষনগরে ব্য়ারাকপুর-বারাসাত রোডে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন বিজেপি কর্মীরা। আক্রান্ত বিজেপি নেতা সাগর বিশ্বাস অবরোধে সামিল হন। আবাসে ‘দুর্নীতি’ থেকে ভোটে জেতার পরে বিধায়ক গ্রামে না আসার অভিযোগও ওঠে । পঞ্চায়েত সদস্যকে কর্মসূচি না ডাকার অভিযোগে তৃণমূলকর্মীদের একাংশের বিক্ষোভ । ‘কোনও বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেনি, সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিষেবা দেখতে গিয়েছিলাম, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবার নিয়ে গ্রামবাসীরা অভিযোগ তোলে, মেশিন দিয়ে ধান কাটায় কাজ না পাওয়ার অভিযোগ গ্রামবাসীদের’, গ্রামে ঢোকার কোনও কর্মসূচিই ছিল না, বিক্ষোভের কথা উড়িয়ে দাবি বিধায়কের ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *