ওজন বাড়লে এবার থেকে খান ঘি! ওজন কমানোর এই চমকপদ্র উপায় সম্পর্কে বিশ্বাস না হলে জেনে নিন

Read Time:3 Minute

ওয়েবডেস্ক, 24Hrs TV : ওজন কমানোর জন্য সবার প্রথম যে খাবারগুলো খাদ্যতালিকা থেকে আমরা বাদ দেই, ঘি তার মধ্যে অন্যতম। বেশিরভাগ মানুষেরই ধারণা ঘি খেলে ওজন বাড়ে। অবশ্য এ ধারণা ভুলও নয়। তবে চিকিত্‍সকেরা বলছেন, নির্দিষ্ট পরিমাণ ঘি সঠিক পদ্ধতি মেনে নিয়মিত খেতে পারলে ওজন বাড়বে না, বরং কমবে। চলুন জেনে নেই ঘিয়ের আরো কিছু উপকারিতা-

ঘিয়ে রয়েছে কে ২ এবং সিএলএ নামক দুটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
একইসঙ্গে এই দুটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানগুলিকে শরীর থেকে বের করে দিয়ে ক্যান্সারের আশঙ্কাও কমিয়ে দেয়।

আমাদের মস্তিষ্কের সচলতা বজায় রাখতে প্রয়োজন উপকারি ফ্যাটের। ঘিয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যাসেনশিয়াল ফ্যাট, যা মস্তিষ্কের কোষের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। স্মৃতিশক্তির বৃদ্ধিতেও ঘি বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

খালি পেটে ঘি খেলে শরীরে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এই ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে। ফলে হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।

খালি পেটে নিয়মিত ঘি খেতে পারলে শরীরে বিশেষ কিছু উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে যা অস্থিসন্ধির সচলতা বাড়িয়ে তোলে এবং সেইসঙ্গে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতেও সাহায্য করে। ফলে হাড়ের যেকোনো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়।

প্রতিদিন খালি পেটে ঘি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে ত্বকের কোলাজেনের উত্‍পাদন বেড়ে যায়। ফলে ত্বক হয়ে ওঠে সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।

ঘিয়ে থাকা ‘মিডিয়াম চেন ফ্যাটি অ্যাসিড’ শরীরে জমে থাকা ফ্যাট সেল গলাতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের মতে, প্রতিদিন ২ চামচ ঘি খালি পেটে খেতে পারলে শরীরে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে। ২-৩ চামচ ঘি-ভাত বা রুটির সঙ্গে খেতে পারলে বাড়বে হজম ক্ষমতা।

পরিপাকতন্ত্রকে চর্বিমুক্ত করার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকেও নির্মূল করতে সাহায্য করে ঘি। এ ছাড়াও অ্যালার্জি প্রতিরোধে, সর্দি-কাশির কষ্ট কমাতে এটি অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *