
ঘূর্ণিঝড় যশের অবস্থান কোথায় দেখে নিন
যশের সতর্কবার্তা থাকলেও এখনও প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। শনিবার সকালেই পূর্ব মধ্যে বঙ্গোপসাগরের উপরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। আগামীকালের মধ্যেই তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর পর উত্তর এবং উত্তর পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে সেটি ২৪ তারিখ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।এই প্রবল ঘূর্ণিঝড় উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে আগামী বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে ওড়িশা থেকে বাংলাদেশের মধ্যে ভূভাগে প্রবেশ করবে।২৫ মে ৭০ কিলোমিটার গতিবেগে বইতে পারে হাওয়া।২৬ মে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’-এর।
গত বছর ২০ মে পশ্চিমবঙ্গকে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ার আগে তার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫৫ কিলোমিটার।ঘূর্ণিঝড় যশ এমনই প্রকৃতির যে গতিবেগ ১২০ কিলোমিটার হলেও তা ১৭০ কিলোমিটারের মতো ধ্বংসাত্মক রূপ নিতে পারে। ফলে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আম্ফানের থেকেও বেশি ক্ষতিসাধন করতে পারে।
আবহাওয়া বিদরা জানিয়েছেন,ক্রমশ ওড়িশা উপকূল থেকে এই ঘূর্ণিঝড়ের মুখ সরে যাচ্ছে। ফলে, পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিঘা থেকে সুন্দরবনের মধ্যেই তা আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি।এখন বঙ্গোপসাগরের উপরে ৫৯০ কিমি দূরে রয়েছে।পারদীপ থেকে ও দীঘা থেকে ৬৭০ কিমি দূরে রয়েছে। আগামীকাল সকালে এটি ঝড়ে পরিণত হবে।
তবে ঘূর্ণাবর্তের জেরে উত্তরবঙ্গে ২৬ ও ২৭ মে সর্বোচ্চ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় যশ এর কারণে ২৪ ঘন্টায় কন্ট্রোল রুম খোলা রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কন্ট্রোল রুমের নম্বর শেয়ার করে টুইটে লিখেছেন, মৎস্যজীবীদের অবিলম্বে ফিরে আসতে বলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের নম্বর – ১০৭০ এবং ০৩৩-২২১৪৩৫২৬।