
বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় যশ আসছে, এই ঝড়ে কোন কোন এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে দেখে নিন।
করোনার সংকটে আবার ও আসছে এক ঘূর্ণিঝড়।আশঙ্কায় ভীত হয়ে আছেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষেরা।গতবছর ঠিক এই সময়েই এসেছিল আমফান।এবার আসছে ‘যশ’ নামক ঝড়।বঙ্গোপসাগরের বুকে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হচ্ছে যা শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, আগামী ২৬ মে সকালে ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে পৌঁছতে পারে। ওইদিন সন্ধ্যায় স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে যশ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ২৫ মে থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি শুরু হবে। পরবর্তী সময়ে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। ঘূর্ণিঝড় এলে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। এই বিষয়ে আবহাওয়া দপ্তর ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং বাংলার প্রাণকেন্দ্র কলকাতা শহরকে সতর্ক করেছে। এই সমস্ত জেলায় প্রবল বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি দমকা হাওয়া বইবে যার ফলে জনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
মৎস্য দফতরের তরফে ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ, নামখানা, বকখালি সহ মৎস্যবন্দরগুলিতে মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে মৎস্যজীবীদের ।ইতিমধ্যে গভীর সমুদ্রে রয়েছেন তাঁদের নিরাপদে উপকূলে লাগোয়া বন্দরগুলিতে ফেরানোর কাজ শুরু করেছে মৎস্য দফতর । যে এলাকায় ঝড় আছড়ে পড়তে পারে, সেখানকার বাসিন্দাদের আগে থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, এই ঝড়কেও আমফানের মতো মোকাবিলা করতে হবে ৷ তার জন্য সবরকমভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি ৷