
অতিমারী থেকে বাঁচতে তৈরি হল করোনা দেবীর মন্দির
সংক্রমণ ও মৃত্যুমিছিল লেগেই রয়েছে।কোভিডের দ্বিতীয় ওয়েভে যখন গোটা দেশ জর্জরিত তখন খড়ে তোলা হল মন্দির।বিশ্বাস হচ্ছে না? একেবারেই সত্যি এই কথা।
অতিমারী থেকে বাঁচতে করোনা দেবীর মন্দির তৈরি হলো তামিলনাড়ুতে।কামাটচিপুরী আধিনাম মন্দিরে বসানো হল ‘করোনা দেবী’-র মূর্তি ৷দেড় ফুট লম্বা গ্রানাইট শিলায় নির্মিত ‘করোনা দেবী’। ঘন লাল রঙের বস্ত্র পড়ানো হয়েছে। একহাতে রয়েছে ত্রিশূল।শুরু হয়ে গিয়েছে পূজা। চলবে একটানা ৪৮ ঘণ্টা।শুধু তাই নয়, পুজো শেষে থাকছে বিশেষ আরাধনা।এই মন্দিরেই আয়োজন হবে যজ্ঞেরও ৷মন্দিরের এক সেবাইত জানান, এই মারণাত্মক রোগকে একমাত্র করোনা দেবীই কাবু করতে পারেন।করোনা দেবীই দেশবাসীকে এই ভয়ঙ্কর অতিমারী থেকে মুক্তি দেবে বলে বিশ্বাস স্থানীয়দের।
কেবল পুরোহিতরা ও মন্দিরের দায়িত্বপ্রাপ্তরা ছাড়া আপাতত আর কারও প্রবেশাধিকার নেই এই মন্দিরে। তবে দূর থেকে প্রণাম করে যেতে পারবেন সবাই। তবে এই প্রথম নয়। করোনা দেবীকে নিয়ে এটি দেশের দ্বিতীয় মন্দির। গত বছর কেরালার কোল্লমা জেলায় এক পুরোহিত তাঁর বাড়িতে করোনা তাড়াতে এমনই এক দেবীর মন্দির স্থাপন করেন।
প্রায় ১০০ বছর আগে কোয়াম্বাত্তুরে প্লেগ মহামারী আকারে ধারণ করে। সেই সময় বহু মানুষ আক্রান্ত হন।এর থেকে রক্ষা পায়নি তামিলনাড়ুর কোয়েম্বত্তুর জেলাও। বছরের পর বছর ফিরে আসে এই মহামারী। অনেকটা করোনার মতোই।প্লেগ মারিয়াম্মন মন্দির স্থাপন করে সেখানে প্রার্থনা করা হত।তারপরেই তারা রক্ষা পেয়েছিল।আজও সেখানে পূজা হয়।
মন্দিরের ম্যানেজার আনন্দ ভারতী বলেন,’রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে দেব-দেবীর শরণাপন্ন হওয়া বহু বছরের রীতি। প্লেগ মারিয়াম্মন মন্দিরের স্থাপন যেমন একটি উদাহরণ।’