
24Hrs Tv ওয়েব ডেস্ক : ভানুর খোঁজে বালেশ্বরেও ছুটেছিল পুলিশ। কিন্তু, সেখান থেকে জীবিত অবস্থায় রাজ্যে আনা যায়নি ভানুকে। বিস্ফোরণের সময় গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন তিনি নিজেও। ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল দেহ। ভর্তি ছিলেন কটকের হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর মৃত্যুতে যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন গ্রামবাসীরা। এলকার এক বাসিন্দা তো বলেই ফেললেন, ভানু মরেছে ভালই হয়েছে। এতে খুশি প্রতিবেশিরা। ভানুর মৃত্যুতে কার লাভ কার ক্ষতি তার ক্ষতিয়ান পেশ করল শাসক ও বিরোধী দল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায় ভানুর মৃত্যুতে ক্ষতি হয়ে গেল তৃণমূলের। তাঁর মতে এই মৃত্যুর জন্য তথ্য সংস্কৃতি বিভাগ থেকে শোকবার্তা প্রকাশ করা উচিত। অন্যদিকে তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষের মন্তব্য, ভানুর মত্যুতে সুবিধা হল বিরোধী দলনেতা ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গদের। এবার রাজনৈতিক মহলে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, একদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা অন্যদিকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ তাঁরা যেভাবে আক্রমন করেছেন তাতে কার্যত বোঝাই যাচ্ছে না ভানুর মৃত্যুতে কার লাভ কার ক্ষতি।
ভানুর মৃত্যু প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে খাদিকুলের ওই বাসিন্দা বলেন, “উনি মারা গিয়েছেন খুবই ভাল হয়েছে। গ্রামের মঙ্গল হয়েছে। ওঁর পরিবারের যাঁরা আছেন তাঁরা যেন উপযুক্ত শাস্তি পান।” এগরা বিস্ফোরণের পর শুরুতে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছিল, মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। প্রত্যেকেই বাজি তৈরির কাজ করতেন। প্রাণ গিয়েছে এলাকার এক মহিলার। ভানু বাগের মৃত্যুতে খানিক স্বস্তিতে গ্রামবাসীরা। তবে সাজা না পেয়ে ভানুর মৃত্যু হওয়ায় খানিক আক্ষেপও করছেন এক মেয়ে। ভানু বাগের শাস্তি না পেয়ে মারা যাওয়াটা বোধহয় উচিত ছিল না বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে আপাতত খুশি গ্রামবাসীরা। এর আগে টুইটে শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, পুলিশকে টাকা দিয়েই এলাকায় বেআইনি বাজির কারখানা চালাত ভানু। বিরোধীদের দাবি, এলাকায় সে তৃণমূল বলেই পরিচিত ছিল। কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন,’যদি তৃণমূলেরই লোক হবে, তবে কালীপুজোর সময় তাকে কেন বেআইনি বাজি তৈরির জন্য গ্রেফতার করা হবে?’ তিনি বলেন, যে এলাকায় বিস্ফোরণ হয়েছে সেই এলাকার পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে।