
নিয়োগ দুর্নীতি মামলার কারচুপির প্রমাণ মিলেছে !
২৪ আওয়ার্স টিভি, ওয়েব ডেস্ক : এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে রিপোর্ট সিবিআই জানায় । এসএসসির গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগে প্রচুর পরিমাণে কারচুপি করা হয়েছে । সিবিআই আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানায় , কেন্দ্রীয় এই সংস্থা দাবি করেছে কমিশনের ডেটাবেস ও তিনটি হার্ডডিস্ক বিস্তর কারচুপির প্রমাণ মিলেছে । সূত্রের খবর , রিপোর্টে বলা হয়েছে, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের যে ওএমআর শিট ছিল, তার মূল্যায়ন ও স্ক্যান করার জন্য বরাত দেওয়া হয়েছিল নাইসা কমিউনিকেশন প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি সংস্থাকে।
সমস্ত ওএমআর শিট স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসেই স্ক্যান করা হয়েছিল। নাইসা মূল্যায়নের পরে নম্বর সম্বলিত যে চূড়ান্ত তালিকা সেটা কমিশনকে দিয়েছিল । এরপর কমিশন নিজেদের সার্ভার বা ডেটাবেস নম্বর আপলোড করে। এরপর সিবিআই যখন গোটা বিষয়টা খতিয়ে দেখতে মাঠে নামে, তখন তারা কমিশনের ডেটাবেস বাজেয়াপ্ত করে । এছাড়াও পঙ্কজ বনসলের গাজিয়াবাদের বাড়ি থেকে তিনটি হার্ডডিস্ক বাজেয়াপ্ত করা হয়। তিনি নাইসার এক প্রাক্তন কর্মী । গাজিয়াবাদের তিনটি হার্ড ডিস্ক এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের যে তথ্য রয়েছে, সেগুলি পরীক্ষা করে দেখা হয় । এরপর নজরে আসে প্রচুর পরিমাণে কারচুপি কাজ । সূত্রের খবর , পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায়, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ সমস্ত ক্ষেত্রে নম্বর পরিবর্তন করা হয়েছে ।
সিবিআই-এর চার্জশিটের দাবি ,বর্তমানে জেলবন্দি সুবীরেশ ভট্টাচার্য, এসএসসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান, যাঁরা পরীক্ষায় পাসই করতে পারেননি , সেই সমস্ত অনেক প্রার্থীর চাকরির জন্য সুপারিশ করতেন । সুবীরেশের নির্দেশে SSC-র তৎকালীন প্রোগ্রাম অফিসার পর্ণা বসু সেই সমস্ত ফেল করা প্রার্থীদের নম্বর বাড়িয়ে দিতেন । এর ফলে তাঁরা প্যানেল বা ওয়েটিং লিস্টে চলে আসেন। সূত্রের খবর , সুবীরেশ ভট্টাচার্য ভরসা দিয়ে বলেন, এব্যাপারে NYSA-র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাহায্য করবেন । এছাড়াও চার্জশিটে আরও দাবি করা হয়েছে, সুবীরেশ ভট্টাচার্য সহ অভিযুক্তদের এই আশ্বাসও দিয়েছিলেন যে, নম্বর বাড়ানোর পর, নতুন তথ্যও এসএসসি-র হাতে তুলে দেবেন ওই বেসরকারি সংস্থার অফিসার। অবশেষে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, একাধিক বার প্রশ্ন উঠে আসছে ওএমআর শিটের বিকৃতিকে কেন্দ্র করে ।