
24Hrs Tv ওয়েব ডেস্ক : লোকে বলে তিনি নাকি ‘টলিউড ইন্ডাস্ট্রি’। সকলে তাঁর মন জুগিয়ে চলে। আপদে-বিপদে সবার পাশেও থাকেন বুম্বাদা। অথচ তাঁকেই কিনা ‘ইন্ডাস্ট্রির শেয়াল’ বলে বসলেন রচনা। এখানেই থেমে থাকেননি অভিনেত্রী। প্রসেনজিৎ’কে নিয়ে নিজের আক্ষেপের কথাও জানিয়েছিলেন। কী সেই আক্ষেপ? শুধু বন্ধুত্বের গণ্ডিতেই আটকে থেকেছে তাঁদের সম্পর্ক, প্রসেনজিৎ কোনওদিন রচনার প্রেমে পড়েননি! এই আক্ষেপ খোদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁদের সম্পর্কে যে প্রেম নেই এমন নয়, হাসিখুশি আর বন্ধুত্ব মিলেমিশে একাকার তাদের মধ্যে। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সোজাসুজি সবটাই শেয়ার করতে পিছপা হন না। তাই বলে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সিক্রেট! তা নিয়ে মুখ খুললেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। বুম্বাদার সব সিক্রেট জানে অভিনেত্রি।
বরাবরই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ স্পষ্ট বক্তা। প্রসেনজিৎকে দেখবে বলে কাতারে কাতারে ভিড়। কিন্তু কোথায় প্রসেনজিৎ! তিনি ভয়ে একটা কোণে দাঁড়িয়ে কেবল তিনি দাঁড়িয়ে নন, পাশাপাশি অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়কেও আটকে রেখেছিলেন। বেরতে দিচ্ছিলেন না সেখান থেকে। এখান থেকে বোঝোটা খুব একটা কঠিন নয় ইন্ডাস্ট্রির শেয়াল প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় কতটা ভিতু। তিনিও আরও বলেন যে, ভীষণ ভীতু প্রসেনজিৎ। গাড়িতে উঠলে আর রক্ষা নেই। দেরী হবেই হবে পৌঁছতে পৌঁছতে। একগাল হেসেই বললেন রচনা। তিনি সিনেমায় যেমন বাস্তব জিবনে তেমন নয়। সামলে সামলে চলেন। তাঁর গাড়ি ৪০ কিমি-র ওপরেও ওঠেনা।
তবে এটা ঠিক যে তাঁদেরকে এখন আর একসাথে দেখা যায় না, রচনা বলেছিলেন, যারা আমরা এই পেশায় কাজ করি, বিশেষ করে মেয়েরা, তাঁদের এমন কাউকে বিয়ে করা উচিত, যাঁরা এই পেশাটাকে বুঝবে। যদি এই পেশার মানুষ হন, খুবই ভাল, নয়তো, সেই বোধটা থাকা প্রয়োজন। তেমন মানুষের সঙ্গেই সংসারটা করা উচিত। কারণ আমাদের পেশাটা এতটা আলাদা অন্যদের থেকে, সেটা বোঝা, জানা, সেই মানুষটাকেও অনেক ক্ষেত্রে অনেকটা মানিয়ে নিতে হয়।’