এবার অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ মলয় পিটকে তলব ইডি-র !

২৪ আওয়ার্স টিভি ওয়েব ডেস্ক : গরুপাচার মামলায় এবার অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মলয় পিটকে তলব ইডি-র । মঙ্গলবারই দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে হাজিরার নির্দেশ। মলয় পিটের স্বাধীন ট্রাস্টের সঙ্গে অনুব্রতর আত্মীয়দের কোটি কোটি টাকার লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। আবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকেও তলব করেছে ইডি। দিল্লিতে ইডি-র সদর দফতরে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। এই নিয়ে পঞ্চম বার তলব করা হল তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রাজীবকে। সূত্রের খবর , ভোলে ব্যোম চালকলের কোটি কোটি টাকা ঢুকত মলয়ের অ্যাকাউন্টেই। ওই চালকলের মলিক হিসেবে নাম রয়েছে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের। আবার মলয়ের বহু প্রতিষ্ঠানে অনুব্রতর অনুদান ছিল বলেও জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় এজেন্সির অনুমান, সেই টাকা মলয়ের বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে বিনিয়োগ হয়েছে। টাকার উৎস সম্পর্কে স্বাধীন ট্রাস্টের কর্ণধার মলয় পিটের কাছে জানতে চায় ইডি। খবর সূত্রের, গরুপাচার মামলায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মলয়কে সিবিআই এর আগে দুই বার জিজ্ঞাসাবাদ করলেও, ইডি প্রথমবার তলব করল।

শান্তিনিকেতনে মেডিক্যাল কলেজ তৈরির পাশাপাশি আরও একাধিক মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করেছেন মলয়। রকেটের গতিতে তাঁর এই উত্থান কী ভাবে সম্ভব হল, সে দিকেও নজর তদন্তকারীদের। তৃণমূলের দাপুটে নেতা অনুব্রতর হাত মাথার উপর থাকাতেই এই হারে উন্নয়ন বলে দাবি স্থানীয়দের। এমনকি অনুব্রত খোদ মলয়ের গাড়িতে চেপে ঘুরতেন বলে দাবি স্থানীয়দের।একই সঙ্গে রাজীবকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। চালকলে কে বিনিয়োগ করেছিল? অনুব্রতর স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য কেন টাকা দিয়েছিলেন রাজীব? এই সব প্রশ্নের উত্তর পেতেই রাজীবকে তলব করেছে ইডি।গরুপাচার মামলায় এর আগেও অনুব্রতর ঘনিষ্ঠ, ব্যবসায়ী তথা শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের কর্ণধার মলয়কে তলব করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।সিবব্যাঙ্ক কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদে মিলেছে তথ্য, দাবি সিবিআই সূত্রে।

সূত্রের খবর , মলয়ের ট্রাস্টের সঙ্গে অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের কোটি কোটি টাকার লেনদেন’ হয়েছে। সেই টাকা বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে বিনিয়োগ করা হয়। এবার গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের এক কোটি টাকার লটারি জেতার রহস্যভেদ করতে গিয়ে সিবিআইয়ের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিবিআই সূত্রে দাবি, আরও ৩টি লটারির টাকার হদিশ মিলেছে। অনুব্রত-কন্যা সুকন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দু’-দু’বার লটারির টাকা ঢুকেছে। তার পরিমাণ প্রায় ৫১ লক্ষ টাকা। এছাড়াও, ২০১৯-এ অনুব্রতর একটি অ্যাকাউন্ট লটারির ১০ লক্ষ টাকা ঢুকেছে বলে সিবিআই সূত্রে দাবি। বারবার একই পরিবার লটারি পাচ্ছে, তাহলে কী এভাবেই গরুপাচারের কালো টাকা লটারির মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে? তদন্তে সিবিআই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *