
এবার হাল ফেরাতে জোর দিলেন অর্থমন্ত্রী !
২৪ আওয়ার্স টিভি, ওয়েব ডেস্ক : বিশ্বের অর্থনৈতিক বেহাল অবস্থার হাল ফেরাতে আশার আলো দেখালেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। বিশ্বের তুলনায় ভারতের অর্থনৈতিকভাবে সুবিধাজনক জায়গায় রয়েছে ভারত এমনটাই জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী । তিনি আজ সংসদে বাজেট পেশ করেছেন । যে যে বিষয় গুলি বাজেট পেশ করেছেন উল্লেখ করেছেন সেগুলি আলোচনা করা হল :
ভারতীয় অর্থনীতি বিশ্বে দশম থেকে পঞ্চম স্থানে এসে পৌঁছেছে। বিশ্ব এখন উজ্জ্বল নক্ষত্র হিসেবে দেখছে ভারতকে । বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ রয়েছে । প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ৭৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে । ১ লক্ষ প্রাচীন লিপির ডিজিটালকরণ হয়েছে । মডেল আবাসিক স্কুলের জন্য ৩৮ হাজার ৮০০ শিক্ষক নিয়োগ করা হবে । সেখানে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ জনজাতি পড়ুয়া পড়াশোনা করবে।
উল্লেখ্য , এই বাজেটে সাতটি বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, সাতটি বিষয় মিলে সপ্তঋষি। জোর দেওয়া হচ্ছে লাদাখ, জম্মু-কাশ্মীর এবং পূর্বাঞ্চলের উপরবিশেষ।”কৃষকদের জন্য ডিজিটাল পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। এর ফলে কৃষকদের বহু সমস্যার সমাধান হবে। ঋণ, বিমা এবং বাজার সংক্রান্ত তথ্য কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে। কৃষির উন্নয়নের জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কৃষকরা যাতে উৎপাদন বাড়াতে পারেন। পাবলিক এবং প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করা হবে। খাদ্যের নিরাপত্তা, কৃষকদের কল্যাণে জোর।’
শিক্ষা ,স্বাস্থ্য এবং প্রশিক্ষণে জোর দেওয়া হবে । ১৫৭ টি নার্সিং কলেজ , চার জায়গায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ২০১৪ সাল থেকে। ওষুধ নিয়ে যাতে নতুন গবেষণা হয়, কেন্দ্র উৎসাহ দেবে। নতুন চিকিৎসা সরঞ্জাম আনা হবে। শিক্ষকদের নতুন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর জন্য একাধিক পদক্ষেপ করছি। শিশু এবং কিশোরদের জন্য জাতীয় ডিজিটাল লাইব্রেরি তৈরি করা হবে। তাতে উন্নতমানের বই থাকবে। সকলের নাগালের মধ্যে থাকবে। রাজ্যগুলিকে লাইব্রেরি তৈরিতে উৎসাহ। ইংরেজি এবং স্থানীয় ভাষায় বই প্রকাশে জোর। ৬ হাজার কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগ বরাদ্দ ,পশুপালন, মৎস্যচাষের উপর বিশেষ নজর । ছোট এবং মাঝারি কৃষকদের জন্য সমবায় অর্থনৈতিক মডেলের কথা ভাবছে সরকার। ৬৩ হাজার প্রাথমিক কৃষি সোসাইটিকে কম্পিউটারাইজড করা হবে। জাতীয় সমবায় তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করা হবে। তাকে কাজে লাগিয়ে ফসল মজুতের ব্যবস্থা করা হবে, যাতে উপযুক্ত সময়ে, ন্যায্য মূল্যে ফসল বিক্রি করতে পারেন কৃষকরা। সমবায়গুলি দেখবে কৃষকরা যাতে শস্য ঠিক মতো বাজারে পৌঁছে দিতে পারেন।