
আজ আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি
২৪ আওয়ার্স টিভি, সৌরভ দত্ত : নেদারল্যান্ডস ও আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে যেন চেনা প্রতিদ্বন্দ্বী। বিশ্বমঞ্চে তারা শুক্রবার ষষ্ঠবার মুখোমুখি হচ্ছে। সব মিলিয়ে ৯ বার দেখা হয়েছে দুই দলের।বিশ্বকাপে দুই দলের সবশেষ ম্যাচ হয়েছিল ২০১৪ সালের সেমিফাইনালে। ১২০ মিনিট শেষে স্কোর ০-০ থাকলে পেনাল্টি শুটআউটে চার স্পট কিকের সবগুলো জালে জড়িয়ে ফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা। তার আগে ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছিল মার্কো ফন বাস্তেনের ডাচ দল ও জোসে পেকারম্যানের আর্জেন্টিনা। ওইবারও জালের দেখা পায়নি দুই দলের কেউ, তবে গ্রুপ পর্ব উতরে যেতে পেরেছিল তারা।
ডাচ ভক্তদের সুখস্মৃতি আছে। ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালের ওই ম্যাচে প্যাট্রিক ক্লুইভার্ট গাস হিডিংকের দলকে এগিয়ে দেন। পাঁচ মিনিটের মধ্যে ক্লাউদিও লোপেজ সমতা ফেরান। ম্যাচ যখন অতিরিক্ত সময়ে গড়ানোর পথে। তখন ডাচ গোলকিপার এডউইন ফন ডার সার ও আর্জেন্টাইন অ্যারিয়েল ওর্তেগার মধ্যে বাকবিতণ্ডা ম্যাচ পাল্টে দেয়। সাবেক রিভার প্লেট মিডফিল্ডার ৮৮তম মিনিটে ফন ডার সারকে ঢুঁশ দিয়ে লাল কার্ড দেখেন। এর ১২ মিনিট আগে আর্থার নুমান দ্বিতীয় বুকিংয়ে মাঠ ছাড়লে হল্যান্ডও ১০ জনের দল হয়। শেষ পর্যন্ত জাদু দেখায় নেদারল্যান্ডসই। ফ্রাঙ্ক ডি বোয়ারের পিনপতন পাসে ডেনিস বার্গক্যাম্প উঁচু কোনাকুনি শটে ২-১ গোলে ডাচদের সেমিফাইনালে তোলেন।
এর আগে ১৯৭৮ সালে দুই দল প্রথম বিশ্বকাপের খোঁজে ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল। মারিও কেম্পেসের গোলে বুয়েন্স আয়ার্সে স্বাগতিক দর্শকদের উল্লাসে ভাসান। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হওয়ার ৯ মিনিট আগে রব রেন্সেনব্রিংক সমতা ফেরান। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে, যেখানে কেম্পেস করেন আরেকটি গোল। তারপর ড্যানিয়েল বার্তনির তৃতীয় গোলে ৩-১ এ প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয় আর্জেন্টিনা। দুই দলের প্রথম বিশ্বকাপে দেখা হয়েছিল তার আগের আসর ১৯৭৪ সালে। ডাচরা টোটাল ফুটবলের প্রদর্শনী দেখিয়ে আর্জেন্টিনাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয়। গ্রুপ পর্বের ওই ম্যাচে ইয়োহান ক্রুইফের জোড়া গোলের সঙ্গে জনি রেপ ও রুড ক্রোল গোলদাতার খাতায় নাম লেখান।আর্জেন্টিনার বিপক্ষে নেদারল্যান্ডস তাদের সবশেষ জয় পেয়েছিল ২০০৩ সালের প্রীতি ম্যাচে। জিওভান্নি ফন ব্রঙ্কোহোর্স্ট ১-০ তে জয়ে একমাত্র গোল করেন।