‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ, ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের

Read Time:3 Minute

24Hrs Tv, ওয়েব ডেস্কঃ ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ করল সুপ্রিম কোর্ট। ধর্ষণের শিকার হওয়া মহিলাদের যোনিতে আঙুল ঢুকিয়ে এই পরীক্ষা করা হয়। সোমবার শীর্ষ আদালত স্পষ্ট জানায়, এই টেস্ট সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক ও পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার পরিচয়। আদালত সুত্রে জানা গিয়েছে, ভবিষ্যতে ধর্ষণের ঘটনায় ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ হলে মামলা দায়ের করারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
একটি ধর্ষণ ও খুনের মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “ধর্ষণ ও যৌন নিগ্রহের মামলায় এই আদালত বহুবার টু ফিঙ্গার টেস্টের বিরুদ্ধে অভিমত দিয়েছে। এই পরীক্ষার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। নির্যাতিতাদের পরীক্ষা করার এটা একটা ‘ইনভেসিভ মেথড’। এর ফলে নির্যাতিতা আরও বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাই ধর্ষণের মামলায় কোনওভাবেই এএই টু ফিঙ্গার টেস্ট যেন না করা হয়।” তিনি এও বলেন, “যৌন জীবনে সক্রিয় একজন মহিলা ধর্ষণের অভিযোগ করলে তাঁকে বিশ্বাস করা যায় না। এই বিশ্বাস পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা ও লিঙ্গবৈষম্যের পরিচয়।”
প্রসঙ্গত, ৯ নভেম্বর দেশের ৫০তম প্রধান বিচারপতি হতে চলেছেন ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। ১৯৯৮ সালে বিচারপতি চন্দ্রচূড় ভারতের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। চন্দ্রচূড় বলেন, “নির্যাতিতার যৌন জীবনের ইতিহাসের মামলার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। এটা দুঃখজনক যে আজও এমন পরীক্ষা করা হয়।” ‘টু ফিঙ্গার টেস্ট’ নিয়ে বিচারপতি স্পষ্ট বলেন, আদালতের রায়ের পরও যারা এই ধরনের পরীক্ষা করবে তার বিরুদ্ধে অবমাননার দায়ে মামলা করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালেই টু ফিঙ্গার টেস্টকে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট। তারপরও ধর্ষণের মামলায় এই পরীক্ষা চলছিল এমনটাই সূত্রের খবর। এক মহিলা বায়ুসেনা অফিসারের ধর্ষণের মামলায় ২০২১ সালে ফের টু ফিঙ্গার টেস্ট প্রশ্নের মুখে পড়ে। প্রসঙ্গত, এই পরীক্ষা ঘিরে অতীতেও বহু বিতর্ক হয়েছে। এতে আক্রান্তের গোপনীয়তার অধিকার রক্ষিত থাকে না এমনটাই দাবি। তাছাড়া এটি অবৈজ্ঞানিকও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *