দিলীপ ঘোষের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে গেলেন সুকান্ত মজুমদার।

24hrstv desk: মঙ্গলবার তৃতীয় মোদী সরকারের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সুকান্ত। ‘রেষারেষি’ অতীত, ভোটে পরাজিত দিলীপের পা ছুঁয়ে মোদীর দেওয়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে গেলেন সুকান্তবঙ্গ বিজেপির প্রায় সকলেই জানেন, দিলীপ যখন বাংলার বিজেপি নেতৃত্ব নিয়ে বিরূপ হয়েছিলেন, তখন সুকান্ত-শুভেন্দু মিলিত ভাবে অভিযোগ করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে। অথচ সুকান্ত দিলীপেরই ‘পছন্দ’ ছিলেন। দিল্লিতে নিজের দফতরে যাওয়ার আগে সুকান্ত সোজা চলে যান দিল্লিতে দিলীপের বাসভবনে। বিজেপির নানা বৈঠকের জন্য এখন দিল্লিতেই রয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ। সুকান্ত তাঁর বাড়িতে গিয়ে দিলীপের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ নেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে তাঁর নতুন সফর শুরুর আগে। দিল্লির মাটিতে দিলীপ-সুকান্তের এই সাক্ষাতে রাজনীতির অলিন্দে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। পরে আনন্দবাজার অনলাইনকে সুকান্ত বলেন, ‘‘উনি একজন প্রবীণ নেতা। ওঁর কাছ থেকে রাজনীতিতে অনেক কিছু শিখেছি। মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব নিতে যাওয়ার আগে আমার মনে হল ওঁর পা ছুঁয়ে একটা প্রণাম করা দরকার। তাই প্রণাম করে এসেছি।’’ সুকান্ত-দিলীপ সাক্ষাতের পাশাপাশি প্রত্যাশিত ভাবেই উঠে এসেছে শুভেন্দু অধিকারীর নামও। কারণ, বঙ্গ বিজেপির তিন কুশীলব বলতে শুভেন্দু-সুকান্ত-দিলীপই আছেন। লোকসভা ভোটের পরে শুভেন্দু-দিলীপের ‘বৈরিতা’ এখন কার্যত প্রকাশ্যে। বস্তুত, লোকসভা ভোটে দিলীপের আসন বদল এবং দিলীপের পরাজয়ের কারণ নিয়ে দিলীপ-পন্থীদের আলোচনা এবং বিশ্লেষণে বারেবারেই উঠে এসেছে শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের ‘জটিলতা’র কথা। দিলীপও তাঁর পরাজয়ের কারণ হিসাবে প্রকাশ্যেই দায়ী করেছেন তাঁর আসন বদলের সিদ্ধান্তকে। বলেছেন, তাঁকে তাঁর কেন্দ্র মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুরে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না। কারও নাম না-করলেও রাজ্য বিজেপির অন্দরে এই ‘কাহিনি’ কারও অজানা নয় যে, এ বার লোকসভা ভোটে প্রার্থী নির্বাচনে শুভেন্দুকে কার্যত ‘অবাধ ছাড়পত্র’ দিয়েছিল দিল্লি বিজেপি। তার সঙ্গে রয়েছে অতীতেও রাজ্য বিজেপির অন্দরে শুভেন্দু-দিলীপ সম্পর্কের ‘অমসৃণতা’। বস্তুত, সুকান্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনার মধ্যেই ফেসবুকে শুভেন্দু এবং দিলীপের ‘অনুগামী’ পরিচয় দিয়ে ‘পেজ’ খুলে দু’পক্ষের আকচাআকচি শুরু হয়েছে। যদিও বিজেপির দাবি, ওই কাজ ‘বেনামে’ করছে তৃণমূল। তারা চায়, রাজ্য বিজেপির অন্দরে কোন্দল লাগিয়ে দিতে।

সুকান্ত-দিলীপ সাক্ষাতের পাশাপাশি প্রত্যাশিত ভাবেই উঠে এসেছে শুভেন্দু অধিকারীর নামও। কারণ, বঙ্গ বিজেপির তিন কুশীলব বলতে শুভেন্দু-সুকান্ত-দিলীপই আছেন। লোকসভা ভোটের পরে শুভেন্দু-দিলীপের ‘বৈরিতা’ এখন কার্যত প্রকাশ্যে। বস্তুত, লোকসভা ভোটে দিলীপের আসন বদল এবং দিলীপের পরাজয়ের কারণ নিয়ে দিলীপ-পন্থীদের আলোচনা এবং বিশ্লেষণে বারেবারেই উঠে এসেছে শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের ‘জটিলতা’র কথা। দিলীপও তাঁর পরাজয়ের কারণ হিসাবে প্রকাশ্যেই দায়ী করেছেন তাঁর আসন বদলের সিদ্ধান্তকে। বলেছেন, তাঁকে তাঁর কেন্দ্র মেদিনীপুর থেকে সরিয়ে বর্ধমান-দুর্গাপুরে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না। কারও নাম না-করলেও রাজ্য বিজেপির অন্দরে এই ‘কাহিনি’ কারও অজানা নয় যে, এ বার লোকসভা ভোটে প্রার্থী নির্বাচনে শুভেন্দুকে কার্যত ‘অবাধ ছাড়পত্র’ দিয়েছিল দিল্লি বিজেপি। তার সঙ্গে রয়েছে অতীতেও রাজ্য বিজেপির অন্দরে শুভেন্দু-দিলীপ সম্পর্কের ‘অমসৃণতা’। বস্তুত, সুকান্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হওয়ায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনার মধ্যেই ফেসবুকে শুভেন্দু এবং দিলীপের ‘অনুগামী’ পরিচয় দিয়ে ‘পেজ’ খুলে দু’পক্ষের আকচাআকচি শুরু হয়েছে। যদিও বিজেপির দাবি, ওই কাজ ‘বেনামে’ করছে তৃণমূল। তারা চায়, রাজ্য বিজেপির অন্দরে কোন্দল লাগিয়ে দিতে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *