‘সন্দেশখালি থেকে গুন্ডাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত’: দিনহাটায় বোসের কড়া বার্তা

24 Hrs Tv:নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন ১৯ এপ্রিল। এই দফায় নির্বাচন রয়েছে কোচবিহারে। তাঁর আগে মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক এবং রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ প্রকাশ্যে রাস্তায় ধ্বস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে। রক্ত ঝড়ে এক তৃণমূল কর্মী এবং এসডিপিও-র মাথা ফেটে যায়। এতে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। দিনহাটায় এসে এদিন রাজ্যপাল উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে অশান্তির ঘটনায় একাধিক গ্রেফতারির তুলনা টেনে বলেন, “সন্দেশখালি থেকে গুন্ডাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। কোনও ভাবে হিংসা, গুন্ডামিকে রেয়াত নয়।”রাজ্যপাল বোস বলেন,‘”রাজনৈতিক হিংসার বিষয়ে জ়িরো টলারেন্স। দিনহাটা শান্তি চায়। দিনহাটা শান্তি পাবে। সারা বাংলায় শান্তি থাকবে।”

আগেই রাজ্যপাল বলেছেন, নির্বাচন প্রাক্কালে বঙ্গবাসী ভ্রাম্যমাণ রাজভবন দেখতে পাবে। নির্বাচনের দিন সকাল ৬ টা থেকেই রাস্তায় থাকবেন রাজ্যপাল। মঙ্গলবার রাতে দিনহাটায় তৃণমূল এবং বিজেপির সংঘর্ষের ঘটনার পর পুলিশের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে রাজভবন। বুধবার সকালে রাজভবন থেকে জানানো হয় কোচবিহার জেলার ওই ঘটনাস্থলে আসছেন রাজ্যপাল। বিকেলে কলকাতা থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছে রাজ্যপাল বলেন, “বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছি।” তিনি আরও বলেন, “গ্রাউন্ড জ়িরোতে গিয়ে বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছি। সেখানে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলব। যা বলার ঘটনাস্থলে গিয়েই বলব। যে রিপোর্ট চেয়েছিলাম তা পুরোটাই গোপনীয়।”

অন্য দিকে, দিনহাটার ঘটনায় নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট জমা দিয়েছে পুলিশ। তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে যে এফআইআর দায়ের হয়েছে, তারও উল্লেখ রয়েছে বলে খবর। পুরো ঘটনার ওপর নজর রাখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় দিনহাটায় পৌঁছে রাজ্যপাল বলেন, “আমি খুব খুশি যে দিনহাটার মানুষ এখানে এসেছেন। হিংসা শেষ করা পর্যন্ত সবাই ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়ব। হিংসা, গুন্ডামির জায়গা নেই এই বাংলায়। বাংলার যে কোনও নাগরিকই চান স্বচ্ছ এবং অবাধ ভোট। আমি সবার সঙ্গে আছি। আর আপনাদের সবার জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, রাজভবন লোকসভা পোর্টাল চালু করেছে। তাতে যে কোনও নাগরিক রাজ্যপালের কাছে পৌঁছতে পারেন। আমি রাজ্যপাল হিসাবে সর্বদা মানুষের জন্য এবং মানুষের সঙ্গে আছি।”

তিনি আরও বলেন, “সারা বিশ্বের কাছে বাংলা প্রমাণ করে দেবে যে আমরা অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে সমর্থ। মানুষ শান্তি চায়। তাঁরা শান্তিতেই থাকবেন।” প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারের ঘটনার প্রেক্ষিতে বুধবার ২৪ ঘণ্টার জন্য বন্‌ধ ডেকেও বিকেলে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে তৃণমূল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *