ভিজল কলকাতা সহ একাধিক এলাকা, বাকুরায় বজ্রপাতে মৃত্যু হল বধূর

Desk(udita): বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার আকাশ মেঘলা থাকলেও আবহাওয়া ছিল গুমোট। এর পর বেলা বাড়তেই দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়। দুই মেদিনীপুরে অবশ্য বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছিল সকালে থেকেই। দুপুর ১টা নাগাদ মেদিনীপুর শহরেও মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। যার জেরে স্বস্তি ফেরে জনজীবনে। মেদিনীপুর শহরে অনেককেই দেখা যায় বৃষ্টিতে গা ভেজাতে। তবে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় জলও জমতে শুরু করেছে। দুই মেদিনীপুরের পাশাপাশি ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, নদিয়া, বীরভূম এবং দুই ২৪ পরগনাতেও বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে। কলকাতাতেও সকাল থেকে টিপ টিপ করে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দুপুর থেকে হালকা বৃষ্টিতে ভিজতে শুরু করেছে শহরের বিভিন্ন এলাকা।অন্য দিকে, সামান্য বৃষ্টির মাঝেই বাঁকুড়ার কোতুলপুরে বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার সাঁইতাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত মহিলার নাম সীমা পাল (৩৫)।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃষ্টি শুরুর আগে থেকেই সাঁইতাড়া গ্রাম লাগোয়া তিলের জমিতে স্থানীয় কয়েক জনের সঙ্গে তিল কাটার কাজ করছিলেন সীমা। বৃষ্টি এসে পড়ায় তাঁরা বাড়ি ফেরার তোড়জোড় শুরু করেন। এরই মাঝে বজ্রপাতে আচমকাই জমিতে লুটিয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ। অন্যেরা তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় গোগড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতাল থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।দীর্ঘ অপেক্ষার পর দক্ষিণবঙ্গের বেশির ভাগ জেলায় বর্ষা প্রবেশ করেছে। কিন্তু এর আগে কলকাতা-সহ সে সব জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়নি আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বর্ষা এলেও বৃষ্টি ছিল অধরাই। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দুর্বল মৌসুমি বায়ু এবং দেরিতে বর্ষা আসার ফলে ১ থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ স্বাভাবিকের থেকে ৭২ শতাংশ কম। দক্ষিণবঙ্গে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১১ দিন পর প্রবেশ করেছে বর্ষা। তা-ও সব জেলায় এখনও প্রবেশ করেনি বর্ষা। যেখানে বর্ষা প্রবেশ করেছে, সেখানেও ছিটেফোঁটাই হচ্ছে বর্ষণ। তাতেই তৈরি হচ্ছে ঘাটতি। গত কয়েক দিনে গরম একটু কম থাকলেও বৃষ্টির দেখা মেলেনি। অবশেষে বৃহস্পতিবার স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজল দক্ষিণবঙ্গের বেশির ভাগ জেলা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *