বিরোধীদের বাঁশ দিয়ে পেটানোর নিদান বিজেপি নেতার!

২৪ আওয়ার্স টিভি ওয়েব ডেস্ক : বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন । এবার তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তপ্ত হতে শুরু করেছে রাজনীতি। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের সামনেই বিরোধীদের বাঁশ দিয়ে পেটানোর নিদান দিলেন বিজেপি নেতা। দেবদাস মণ্ডলের মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ভোট লুঠের রাজনীতি করে না তৃণমূল । এর পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসকদল। দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতির পর এবার বাঁশ দিয়ে বিরোধীদের মারধরের নিদান দিলেন, বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল। বাঁশ দিয়ে হাঁটু ভেঙে দেওয়ার বিজেপি নেতার হুঁশিয়ারিকে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

সূত্রের খবর , বনগাঁ তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি নিরুপম রায় বলেছেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস ভোট লুঠের রাজনীতি করে না । এবার ভোট লুঠ হবে না নিষ্ঠার সঙ্গে সততার সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট হবে । উনি পাগল হয়ে গিয়েছে, কোন পাগলা গারদে যাবে সেটা ঠিক করুন’। বছর ঘুরলে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে হুমকি-হুঁশিয়ারি চলছেই। মঙ্গলবার, বনগাঁর শিমুলপুরে বিজেপির বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী ও বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর । তাঁর সামনেই মঞ্চ থেকে হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা। বনগাঁ বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডলের মঞ্চ থেকেই হুঁশিয়ারি, ‘আগামী যে পঞ্চায়েত ভোট হবে, আগেও বলেছি, আজকেও বলে যাচ্ছি, সেই ভোট ২০১৮-র ভোট নেই, সেই ভোট হবে ২০২৩-এর ভোট, প্রত্যেকটা বুথে, বাহিনী রেডি করে রাখবেন, চার হাত বাঁশ নিয়ে, সেই বাঁশ দিয়ে যারা ভোট লুঠ করতে আসবে হাঁটুর মালাইচাকিটা তাদেরকে ভেঙে দেবেন’।

তবে দিন দুয়েক আগেই ফের ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করার নিদান দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার । পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে বিজেপির কর্মী সম্মেলনের মঞ্চ থেকে তিনি দলের কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, বড় ডান্ডা হাতের কাছে রাখুন। তৃণমূলের কেউ যদি অন্যরকম কিছু করে, এখানে তৃণমূলের যে শেখ সুফিয়ান আছেন, তাঁরা যদি কিছু করেন, তাহলে আগে ডান্ডা দিয়ে সোজা করে দেবেন। তাঁর পরামর্শ, পরে যেন কর্মীরা তাঁকে জানান, দাদা, কোর্স কমপ্লিট হয়ে গেছে। তার বক্তব্য, সিপিএম ৩৫ বছরে আমার কিছু করতে পারেননি আর উনি কি করবেন। এবং তার পাশাপাশি সভা মঞ্চ থেকে পুলিশকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *