ইডি’র অভিযান নিয়ে বিস্ফোরক দাবি বাম নেতার
24 Hrs Tv:নিজস্ব প্রতিনিধি: শুক্রবার সকালে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়ির পাশাপাশি কলকাতার আরও ৫ জায়গায় হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টেরেট (ইডি)। এনিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ইডির-র বিরুদ্ধে অভিযোগে বলেন, দিল্লির নির্দেশে তৃণমূলের বড় দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের রেহাই দিচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। পরিবর্তে নিচু স্তুরের ছোটো নেতাদের ধরে টানাটানি করছে।
রাজ্যের মন্ত্রী বাড়িতে ইডির অভিযান প্রসঙ্গে সুজন বলেছেন, “মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িকে ইডি গিয়েছে। রাজ্য সরকারের সব মন্ত্রীর বাড়িতে ইডি যাওয়ার কথা। সবাই টাকার ভাগ নিয়েছে।” তিনি অভিযোগ করেন, শিক্ষা দফতরের সঙ্গে চন্দ্রনাথ সিনহার কোনও যোগাযোগ নেই। কিন্তু শিক্ষা দুর্নীতিতে জড়িত তিনি। তৃণমূলের নেতা হবে আর টাকা নেবে না, দুর্নীতি করবে না তাই হয় কখনও?”
এর পাশাপাশি নাম না করে কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বাম নেতার কথায়, ইডি কালীঘাট চেনে না? শান্তিনিকেতন বাড়ি চেনে না? দিল্লির নির্দেশে তলার নেতাদের টানাটানি করে ইডি দেখাচ্ছে আমরা কাজ করছি। আসলে রেহাই দিচ্ছে তৃণমূলের সর্বোচ্চ দুর্নীগ্রস্ত বড় নেতাদের।”
ইতিমধ্যেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ আরও বেশ কয়েকজন জেলবন্দী। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অভিযানে এই দুর্নীতির তদন্তে টাকার পাহাড় উদ্ধার হয় পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বেলঘরিয়ার আবাসন থেকে। এঘটনা সামনে আসতেই হইহই কাণ্ড বেঁধে যায় রাজ্যজুড়ে। এদিকে লোকসভা নির্বাচনের মুখে ইডি-র এই সক্রিয়তা নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র শান্তনু সেন। বলেন, ‘নির্বাচন আসতেই নিয়ম করে রাজ্যের মন্ত্রীর বাড়িতে ইডি পাঠানো হচ্ছে। এখানেই সবটা স্পষ্ট হয়ে যায়।’
চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে ইডি হানা নিয়ে এজেন্সি রাজনীতির দিকে ফের একবার আঙুল তুলেছেন শান্তনু সেন। এর আগে একাধিকবার বিভিন্ন সময় তৃণমূল নেতারা অভিযোগ তুলেছিলেন, ইডি-সিবিআই-কে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও সেই যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয় বিজেপি থেকে। তাঁদের কথায়, ‘এজেন্সি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে আইন মেনে কাজ করছে।’ মন্ত্রীর বাড়িতে হানাদারির পাশাপাশি শুক্রবার চেতলার পিয়ারী মোহন রায় রোডের একটি বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। ওই বাড়িটি ব্যবসায়ী বিশ্বরূপ বসুর বলে জানা গিয়েছে। তিনি পরিবহণ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।