
গান্ধীজির প্রপৌত্রীর দক্ষিণ আফ্রিকায় সাত বছরের জেল হেফাজত
ভারতের স্বাধীনতার যুদ্ধে বহুবার কারাবাস গ্রহণ করেছিলেন মহাত্মা গান্ধী। এমনকী দক্ষিণ আফ্রিকাতে থাকাকালীনও বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমে কারাগারে গিয়েছিলেন। আর এবার সাত বছরের জেলের সাজা হল তাঁর প্রপৌত্রী তথা নাতনি এলা গান্ধীর মেয়ে আশিস লতা রামগোবিনের। না, কোনও আন্দোলন করে নয়, ৬.২ মিলিয়ন র্যান্ড বা ভারতীয় মুদ্রায় ৩.৩৩ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে তাঁকে সাত বছরের জেলের সাজা শুনিয়েছে ডারবানের একটি আদালত।
একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সালে এস আর মহারাজ নামে এক ব্যবসায়ীর থেকে মিথ্যে কাগজপত্র দেখিয়ে ওই টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন রামগোবিন। এই সময় ব্যবসায়ী মহারাজের সঙ্গে আলাপের পর রামগোবিন তাঁকে জানিয়েছিলেন, তিনি খুবই আর্থিক সংকটে ভুগছেন। সেই সময় ভারত থেকে তাঁর অর্ডার করা তিনটি কন্টেনার ভরতি লাইনেন বা সুতির কাপড় বন্দরে আটকে। সেগুলি ছাড়িয়ে আনতে প্রচুর টাকা আমদানি শুল্ক দিতে হতো তাকে । এরপরই মহারাজের সাহায্য চান রামগোবিন। জানান, পরবর্তীতে লাভের অংশও পাবেন মহারাজ। এখানেই শেষ নয়, একাধিক ভুয়ো কাগজপত্রও ওই ব্যবসায়ীকে প্রমাণস্বরূপ পাঠান গান্ধীজির প্রপৌত্রী। এরপর ওই টাকাটি রামগোবিনকে পাঠিয়ে দেন মহারাজ। কিন্তু পরে বুঝতে পারেন, সমস্ত কাগজপত্রই ভুয়ো।
এরপরই আদালতে মামলা গড়ায়। সেই মামলার রায়ে শেষপর্যন্ত দোষী সাব্যস্ত হলেন গান্ধীজির প্রপৌত্রী। আর তাঁকে সাত বছরের জেলের সাজা শোনাল আদালত। প্রসঙ্গত, গান্ধীজির দ্বিতীয় ছেলে মনিলাল গান্ধীর মেয়ে এলা গান্ধী। তিনি আবার দক্ষিণ আফ্রিকার জনপ্রিয় সমাজকর্মী এবং প্রাক্তন সাংসদ। তাঁরই মেয়ে লতা রামগোবিন। ইতিমধ্যে এই ঘটনা জানতে পেরে অনেকেই অবাক হয়েছেন।