কয়লা পাচার কাণ্ডে জিতেন্দ্রের সিআইডির তদন্তের স্থগিতাদেশ হাই কোর্টের!

24Hrs Tv, ওয়েব ডেস্ক: কয়লা পাচার কাণ্ডে আদালতের রায়ে স্বস্তি পেলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি।কয়লা পাচার মামলায় একদিকে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-ইডি। সমান্তরালভাবে সেই তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। এমনকী, আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বর্তমান বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে সমন পাঠিয়েছিল সিআইডি। এর পালটা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন জিতেন্দ্র। তাঁর বিরুদ্ধে সিআইডির সমস্ত তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ জারি করল আদালত। আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে কোনও কঠোর আইনি পদক্ষেপ করতে পারবে না সিআইডি । মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। আদালতের পর্যবেক্ষণে একই অপরাধের ক্ষেত্রে দু’টি সমান্তরাল তদন্ত চলতে পারে না।

এদিন মামলার শুনানিতে তাঁর প্রশ্ন ছিল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই যখন তদন্ত করছে, তারপরেও কীভাবে রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি তদন্ত করতে পারে? এই মামলায় এদিন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, “কয়লা পাচার মামলায় সিআইডিকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হলে, সেটা সমান্তরাল তদন্ত প্রক্রিয়ায় সায় দেওয়া হবে এবং সিবিআইয়ের তদন্তে বাধা দেওয়া হবে।”

মামলার শুনানিতে সরকার পক্ষের আইনজীবী আদালতে দাবি করেছেন, বিজেপি নেতাকে শুধুমাত্র নোটিস পাঠানো হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য ডাকা হয়নি। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করলে গ্রেপ্তারের কোনও প্রয়োজন নেই। যদিও জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে সাক্ষী হিসেবে ডেকে পাঠানোর নোটিসের উপরও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় আদালত। ভারতীয় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ নম্বর ধারায় পাঠানো গত ১০ সেপ্টেম্বরের নোটিসের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি হল।

আদালতের পর্যবেক্ষণ, “একই অপরাধের ক্ষেত্রে দু’টি সমান্তরাল তদন্ত চলতে পারে না। দু’টি সমান্তরাল তদন্ত প্রক্রিয়া মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।” রাজ্যকে বিচারপতির প্রশ্ন, যে মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআই চার্জশিট দাখিল করেছে সেই মামলায় হস্তক্ষেপ করতে পারে কি? সরকারি আইনজীবীর দাবি, রাজ্য আগে কয়লা পাচার মামলার তদন্ত শুরু করেছে। পরে সিবিআই এসে এই মামলার তদন্ত শুরু করেছে। এতে রাজ্যের অধিকার খর্ব হয়েছে। আবার জিতেন্দ্র তিওয়ারির আইনজীবীর দাবি,কয়লাপাচার মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। বৃহত্তর তদন্ত চলছে। এই তদন্ত করতে পারে না। আদালত মনে করছে, কয়লাপাচার কাণ্ডে দ্বিতীয় কোনও তদন্তকারী সংস্থার প্রয়োজন নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *