লক্ষ্মী ভাণ্ডারের টাকা আত্মসাৎ বিজেপির!

24 hrs tv desk: লোকসভা নির্বাচনের দোরগোড়ায় এসে আবারও বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ শুভেন্দুর জেলায়। রাজ্য সরকারের প্রকল্পের টাকা নাকি আত্মসাৎ করছে কেন্দ্রীয় দলের সদস্যরা! লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে কারসাজি করছে বিজেপির লোকজন, এমনি মারাত্মক অভিযোগ এলাকাবাসীর।

পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় ধৃত বিজেপি নেতা সহ আরও দুই জন। বেশ কিছুদিন থেকে উঠে আসা তথ্যের ভিতিত্তে তাদের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে এক ভয়ানক অভিযোগ। রাজ্য সরকারের দেওয়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নাকি পাইয়ে দিতেন তারা! এমনকি আগাম বলে রাখলে তবেই নাকি পাওয়া যেত টাকা। বিজেপি নেতার ছেলে বেসরকারি অফিসের অধিনে বিভিন্ন সরকারি অফিসে ডাটা এন্ত্রির কাজ করতেন,তার বিরুদ্ধেই মুল অভিযোগ।হুগলির খানাকুল দু নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসে কারচুপি করে বিজেপির বুথ সভাপতি-সহ তার ছেলে ও কয়েকজন পেয়েছিল লক্ষীর ভান্ডারের টাকা। আর এনিয়ে খানাকুল দু’নম্বর ব্লকের বিডিও মধুমিতা ঘোষ খানাকুল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না থানার পুলিসের সহযোগিতায় ময়না এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ হরকুলি গ্রামের শ্রীকান্ত দাসের বাড়িতে যায় পুলিস। শ্রীকান্ত দাস বাড়িতে ছিলেন না। তিনি ডেটা এন্ট্রির কাজ করতেন। শ্রীকান্ত পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার হরকুলি গ্রামের বিজেপির বুথ সভাপতি অশোক দাসের ছেলে। খানাকুল বিডিও অফিসে কাজ করতেন শ্রীকান্ত। তিনি নজের নামে ও বাবার নামে টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ তিনি ২০২২ সালে খানাকুল ২নং ব্লকের বিডিওর কম্পিউটার পাসওয়ার্ড হ্যাক করে কারচুপি করেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা। সে সময়ে তিনি তার বাবা বিজেপি নেতা সহ আরও ১৫ থেকে ১৮ জন লোককে টাকা পাইয়ে দেন। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে তড়িঘড়ি তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন খোদ বিডিও। শ্রীকান্ত বাড়ি না থাকায় তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ,কিন্তু তার বাবা অশোক দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিওবা বিজেপির বুথ সভাপতি জানিয়েছেন টাকা একাউন্টে ঢুকলেও পরে নাকি বন্ধ হয়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *