শপথ নিলেন নতুন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস


24Hrs Tv, সৌরভ দত্ত: আজ রাজ্যপাল পদে সি ভি আনন্দ বোস শপথ গ্রহণ করলেন। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি। সকাল পৌনে ১১টায় শপথগ্রহণ শুরু হয়।
রাজভবনে চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছিল সকাল থেকেই । শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গাঁধী, মন্ত্রী ও মেয়র ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মালা রায়-সহ তৃণমূলের বিধায়ক, সাংসদরা।

প্রাক্তন IAS অফিসার সি ভি আনন্দ বোস কেরলের বাসিন্দা। তবে কলকাতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অনেকদিনের। রাজ্যপাল হিসেবে নাম ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছিলেন, ‘কলকাতার সঙ্গে আমার আবেগের সম্পর্ক। ব্যাঙ্কের কর্তা হিসেবে আমার কর্মজীবন শুরু হয়েছিল কলকাতায়। আমি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রোবেশনারি অফিসার ছিলাম। আমি এখানে থেকেছি, এখানকার মানুষের সঙ্গে মিশেছি। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার চেষ্টা করেছি। এবার আরও ভালভাবে তা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, চিত্ত যেথা ভয় শূন্য উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত… আমি কথা দিচ্ছি, প্রতিদিন আমি অন্তত একটা বাংলা শব্দ শিখব। ‘

ইংরেজি, মালায়ালি এবং হিন্দি ভাষায় উপন্যাস, ছোট গল্প, কবিতা এবং প্রবন্ধ মিলিয়ে ৪০টি বই লিখেছেন। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার প্রবেশনারি হিসেবে প্রথম চাকরিতে কলকাতাতেই কর্মজীবন শুরু।

ভারত সরকারে সচিব, মুখ্য সচিব, জেলাশাসক, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদও অলঙ্কৃত করেছেন আনন্দ। রাষ্ট্রপুঞ্জের হ্যাবিট্যাট গভর্নিং কাউন্সিলেরও সদস্য ছিলেন আনন্দ। জওহরলাল নেহরু ফেলোশিপের প্রাপক আনন্দ, লালবাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন মুসৌরিরও প্রথম সদস্য, যা কিনা ভবিষ্যতের সিভিল সার্ভেন্টদের প্রশিক্ষণে দেশের মধ্যে শীর্ষে।


কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সচিব, শিক্ষা, বন, পরিবেশ, শ্রম, প্রশাসনিক এবং রাজস্ব বোর্ডের প্রধান সচিব হিসেবেও কর্মরত ছিলেন দীর্ঘ দিন। সুদীর্ঘ কর্মজীবনে দেশ-বিদেশ থেকে অংসখ্য সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছেন। ভারত সরকার তাঁকে ন্যাশনাল (স্পেশ্যাল) হ্যাবিট্যাট পুরস্কারে সম্মানিত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন ১৫টি সোনার মেডেল পেয়েছেন। আইএএস হিসেবে প্রশিক্ষণ নেওয়ার সময় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তিন তিন বার শীর্ষ স্থান দখল করেন।।
প্রশাসনিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও, নিজের ব্যক্তিগত রাজনৈতিক আদর্শও রয়েছে আনন্দের। ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্য তিনি। তবে বিজেপি-তে থেকে দলের সমালোচনা করতেও পিছপা হন না আনন্দ। কেরলে দলের সমস্যা সমাধানে তাঁকে নিয়োগ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *