চমকপ্রদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দিয়ে শুরু হল ২২তম বিশ্বকাপ ফুটবল
২৪ আওয়ার্স টিভি, সৌরভ দত্ত : ১৯৯০ সালে প্রাকৃতিক গ্যাস সন্ধানের আগে পর্যন্ত ধুলো অধ্যুষিত মুক্তার বন্দর আর জেলেদের দেশ হিসেবেই পরিচিত ছিল কাতার। এরপর দ্রুত গতিতে দেশটি রূপান্তরিত হয়েছে আধুনিক দেশে। অভাবনীয় সাফল্য লাভ করে কাতার। আরবের বুকে ফুটবলের জোয়ার নিয়ে এসেছে রাতারাতি ধনী দেশে পরিণত হয়ে যাওয়া কাতার।
পেট্রোডলার খরচ করে প্রথমবারের মতো আরব দেশগুলোর মধ্যে নিজেদের মাটিতে ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজন করছে দেশটি। আর এই এক বিশ্বকাপের পেছনে কোটি কোটি ডলার খরচ করেছে কাতার।
এই বিশ্বকাপের মধ্য দিয়ে খরচ করা সকল অর্থ আবার উঠিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে আরব দেশটির। এবারের বিশ্বকাপের মধ্য দিয়ে ২২তম ফুটবলের এই মহাযজ্ঞ শুরু হল। সফলভাবে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারলেই শূন্য থেকে শিখরে উঠে যাবে কাতার, এমনটাই ধারণা করা যায়।
শুরু হয়ে গেল ফুটবল বিশ্বকাপ। জাঁকজমকের মাধ্যমে দোহার আল বায়াত স্টেডিয়ামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হল। কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে প্রচুর বিতর্ক থাকলেও, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মাতিয়ে দিল তারা। দেওয়া হল ঐক্যের বার্তা, দেওয়া হল সাম্যের বার্তা। ফুটবলই যে দুনিয়াকে এক করতে পারে, সেই বার্তা বারে বারে উঠে এল।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরুর অনেক আগে থেকেই ভিড় জমতে শুরু করেছিল আল বায়াত স্টেডিয়ামের বাইরে। হলুদ জার্সি এবং পতাকা নিয়ে স্টেডিয়ামের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন ইকুয়েডরের সমর্থকরা। অন্য প্রান্ত থেকে এগিয়ে আসছিলেন সাদা এবং সবুজ জার্সি পরিহিত কাতার সমর্থকরা।
নির্ধারিত সময়ের ৪২মিনিট পর শুরু হল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। প্রথমেই দেখা যায় কাতারের শাসক শেখ মহম্মদ বিন রশিদ আল-মাখতুম। প্রথমে গানের অনুষ্ঠান হয়। তার পরেই বিশ্বকাপে ঐক্যের বার্তা শোনাতে শোনাতে হাজির হন হলিউডি অভিনেতা মর্গ্যান ফ্রিম্যান। তাঁর সঙ্গে মঞ্চে প্রবেশ করে কাতারের বিশেষ ভাবে সক্ষম ঘানেম আল-মুফতাহ।
প্রত্যাশামতোই গাইলেন কোরীয় ব্যান্ড বিটিএস-এর প্রধান গায়ক জান কুক। তাঁর সঙ্গেই এলেন কাতারের গায়ক ফাহাদ আল-কুবায়সি। এর আগের বিশ্বকাপে যে যে গানগুলি গাওয়া হয়েছিল, সেগুলি ফিরে এল।
১৯৯৮ বিশ্বকাপে রিকি মার্টিনের গাওয়া ‘ওলে, ওলে’ থেকে ২০১০ বিশ্বকাপে শাকিরার গাওয়া ‘ওয়াকা, ওয়াকা’, সবই শোনা গেল। আগের বারের বিশ্বকাপে যে সব ম্যাসকট ছিল, তাদেরকেও একে একে হাজির করানো হল।