লক্ষীপুজোর আগের রাতে মোমিনপুরের হিংসায় প্রশাসনের দিকে ব্যর্থতার আঙুল বিজেপির!

Read Time:4 Minute

24Hrs Tv, ওয়েব ডেস্ক: দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষকে ঘিরে প্রায় বনধের মত পরিস্থিতি এখন মোমিনপুরে। লক্ষী পুজোর আগের রাত থেকে এই হিংসা ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, এক বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ অন্য ধর্মালম্বীদের বাড়িতে জোর করে কিছু পতাকা লাগিয়ে দিয়েছিলেন। এতে ধর্মীয়ভাবাবেগে আঘাত হানার অভিযোগ ওঠে। পরে ওই পতাকাগুলো খুলে ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু এর জেরে শুরু হয় হিংসা। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় মোমিনপুরের ইকবালপুর থানা এলাকায়। এরপর রাতের অন্ধকারে একদল দুষ্কৃতী একের পর মোটরবাইক এবং দোকান ও রাস্তার পাশে থাকা গুমটিতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। সামনে এসেছে একাধিক ভিডিও যেখানে দেখা যাচ্ছে রাস্তার উপরে থাকা বিশাল বাঁশের কাঠামো ঝাঁকিয়ে ফেলে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগকারী বিজেপি-র দাবি এই সব দুর্গাপুজোর মণ্ডপের গেট। আবার দুই দলকে একে অপরের উপরে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে দেখা গিয়েছে। এমনকী, ইকবালপুর থানায় ঘেরাও করে একদল বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ। পাশাপাশি এই একই ভিডিও-তে কাউকে বলতে শোনা যাচ্ছে আরও বেশি করে মানুষকে ইকবালপুর থানায় নিয়ে আসতে যাতে ঘেরাও আরও বেশি জোরদার করা যায়। এই ঘটনাকে ঘিরে পুলিশ প্রশাসনের দিকে ব্যর্থতার আঙুল তুলেছে বিজেপি। ঘটনায় লক্ষীপুজোর রাতেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-কে চিঠি লিখেছেন বলেও জানিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যাতে আধা সেনা নামানো হয় সেই সুপারিশও নাকি এই চিঠিতে করেছেন বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু। কেন এই ভয়াবহ হিংসা? কেন পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থছ এমন হিংসা নিয়ন্ত্রণে? এই প্রশ্ন তুলে সকাল ১০টায় খিদিপুরে যাওয়ার কথা বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।

বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার লক্ষীপুজোর সকালে এই নিয়ে নিজের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে সরব হন। ঘটনায় দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানান। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন ইকবালপুর থানা দুষ্কৃতীদের না ধরে এমন একজন মানুষকে আটক করে যিনি ওই পতাকা খুলে ফেলে দিয়েছিলেন। তাঁর দাবি ছিল যে এই পতাকায় তাঁর ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানা হয়েছে। পরে পুলিশ ওই ব্যক্তিকে ছেড়ে দিলে ফের শুরু হয় সংঘর্ষ। দফায় দফায় দুই গোষ্ঠীর হিংসায় মোমিনপুরে কার্যত লক্ষীপুজোর দিনে অলিখিত বনধের চেহারা নেয়। হিংসা মোকাবিলায় পুলিশি ব্যর্থতার কথা বলে লাগাতার টুইট করতে থাকেন বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্ব। লক্ষীপুজোর রাতে মোমিনপুর হিংসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কলকাতা পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। হিংসা মোকাবিলায় আধা সেনা নামানোর দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-কে চিঠি লিখেছেন তিনি। সেই সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যপাল এল গণেশন-কেও চিঠি দিয়েছেন  বলে টুইট বার্তায় উল্লেখ করেছেন।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *