রাশ হাতে রেখেই প্রার্থীদের প্রচার খরচে ‘লাগাম’ আলগা করেছে কমিশন
24 Hrs Tv:নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনকে স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে জাতীয় নির্বাচন কমিশন নজরদারির জন্য জেলা গোয়েন্দা কমিটি (ডিস্ট্রিক্ট ইন্টালিজেন্স কমিটি) গড়েছে। ‘আর্থিক সংবেদনশীল’ অঞ্চলে নজরদারির জন্যে এই কমিটি গড়া হয়েছে। ইতিমধ্যে এই কমিটি গঠন নিয়ে তৃণমূল জাতীয় নির্বাচন কমিশনে ডেপুটেশন জমা দিয়েছে। শনিবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার দেশে লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করেছে। এরই সঙ্গে সারা দেশজুড়ে বলবত হয়েছে আদর্শ আচরণ বিধি অর্থাৎ মডেল কোড অফ কন্ড্যাক্ট (এমসিসি)।
জাতীয় নির্বাচন কমিশন আগেভাগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশনের গঠিত জেলা গোয়েন্দা কমিটিতে কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়েরই তদন্তকারী সংস্থার সদস্যেরা থাকবেন। পুলিশ, আয়কর দফতর, শুল্ক, জিএসটি, ইডি আধিকারিকেরা ওই কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। আর ওই কমিটিতে ইডির ভূমিকা নিয়েই স্মারকলিপিতে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। এতদিন নির্বাচন প্রচারে ই-রিকশা বা সাইকেল রিকশায় চড়লে নির্বাচন প্রচারের খরচে এই হিসেব উল্লেখ করতে হত না প্রার্থীকে। এদিন কমিশন জানিয়েছে, এবার থেকে প্রার্থীদের সেই খরচের হিসেব জমা দিতে হবে। প্রার্থীরা খরচের সঠিক তথ্য জমা দিচ্ছে কি না, তা জানতে পর্যবেক্ষকদের পাশাপাশি ইডি, আয়করের মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাও গোপনে নজরদারি চালাবে। পুরো প্রক্রিয়াটাই হবে কমিশনের অধীনে।
নির্বাচন নিয়ে কমিশন আটঘাট বেঁধেই ময়দানে নেমেছে। প্রায় দু’বছর ধরে কমিশন লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি সেরেছে, এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। এমতাবস্থায়, অতীতে লোকসভা নির্বাচনে এক একজন প্রার্থী সর্বাধিক ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে পারতেন। তবে এক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচন কমিশন কিছুটা হলেও লাগাম আলগা করেছে। এলাকা ভিত্তিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির নিরিখে ২০১৪ সালের পর ২০২০ সালে প্রার্থীদের খরচের সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে, এক প্রশ্নের উত্তরে এমনটা জানিয়েছেন রাজীব কুমার। কতটা বাড়ানো হয়েছে। এর জবাবে রাজীব জানান, বর্তমানে তা বাড়িয়ে ৯৫ লাখ টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে।
রাশ নিজেদের হাতে রেখে এবং লাগাম কিছুটা ছেঁড়ে রাজীব কুমার ঠারে ঠারে বুঝিয়ে দিয়েছেন পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়া এখন কমিশনের স্ক্যানারে। কমিশনের প্রথম এবং শেষ লক্ষ্য সাধারণ নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষতার সঙ্গে সুসম্পন্ন করা।