সিএএ-এর সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ কেরল সরকার

24 Hrs Tv:নিজস্ব প্রতিনিধি: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ)-র সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে জল গড়াল সুপ্রিম কোর্টে। সিএএ-এর সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ হল কেরল সরকার। সিএএ-র বিরুদ্ধে একাধিক আবেদন জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আগামী ১৯ মার্চ, মঙ্গলবার সেই সব ক’টি আবেদন শুনবে শীর্ষ আদালত।

কেরল সরকারের মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের তরফে আগেই বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছিল, কেরলে সিএএ কার্যকর করা হবে না। এটাই তাদের সরকারের অবস্থান। এনিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও বিবৃতি জারি করেনি। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার সরকারি পরিষেবা প্রদান মঞ্চে মৌখিক আকারে ঘোষণা করেছেন এরাজ্যে সিএএ কার্যকর করতে দেওয়া হবে না।

কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দফতরের তরফে বিবৃতিও জারি করে জানানো হয়েছিল, সংবিধানের ১৩১ ধারার অধীনে আগেও সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এ বার সুপ্রিম কোর্টের মাধ্যমে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার প্রস্তুতি নিতে চলেছে রাজ্য। কেন্দ্রীয় সরকার এই আইন জারি করেছে। কেরল সরকারের অবস্থান হল, এ রাজ্যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করা হবে না। কেরলের আইনমন্ত্রী পি রাজীব বলেন, “সিএএ ভারতীয় সংবিধানের প্রাথমিক নীতির বিরোধী। এটা সংবিধান-বিরোধী ঘোষণা করার জন্য আবেদন করছি। আগের আবেদনেও সেই আর্জিই জানানো হয়েছে। এখন সুপ্রিম কোর্টে আবার আবেদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের অ্যাডভোকেট জেনারেল সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবীদের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চালানোর জন্য কথাবার্তা বলছেন।”

গত ১১ মার্চ সিএএ জারি করে মোদি সরকার। এর ফলে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে যে সব হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি, খ্রিস্টানেরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে এসেছেন, তাঁদের এ দেশের নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু করা হবে। ১৪ মার্চই কেরল সরকার জানিয়ে দিয়েছিল, তারা এই আইনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে। এ বার সেই পথে এগিয়েছে কেরল সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *