চিল্কায় দেখা গেল বিরল প্রজাতির হানি ব্যাজার !

Read Time:2 Minute

২৪ আওয়ার্স টিভি ওয়েব ডেস্ক : ”দা জঙ্গল বুক” এই সিনেমাটির সাথে কমবেশি আমরা সকলেই পরিচিত। নামটা শুনলেই মনে আসে গাছ-গাছালি বন্য পশু পাখি এছাড়াও অনেক কিছু। কেমন হবে যদি সিনেমার একটি অবলা চরিত্র চলে আসে আপনার সামনে ??? নিশ্চই ভালোই লাগবে। এবার সেরকম কিছুর দেখা মিলবে ওড়িশার চিল্কা হ্রদে। কথা হচ্ছে ” হারজিৎ” এর। ওড়িশার চিলকায় দেখা মিললো বিরল হানি ব্যাজারের। ছোট প্রাণীটির মিল রয়েছে ভালুকের সঙ্গে। নখ এবং দাঁত দিয়ে মাটির নিচে গর্ত খুঁড়ে বাসা বানায় এরা। এদের মন্পসন্দ খাবার মৌমাছির মধু। এরা নির্জন জায়গায় থাকতে ভালোবাসে। দেখতে খানিকটা হিংস্র হলেও মানুষের জন্য ক্ষতিকারক নয়। এই প্রজাতির একটি সংস্করণেরই দেখা মিললো চিল্কায়।

”দা ফিসিং ক্যাট প্রজেক্ট ” এবং ”চিল্কা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ” যৌথ প্রয়াসে বেশ কিছু বছর ধরে চলছে বাগরোল প্রজেক্ট। ২০১৮ সালে প্রথম তুরান গ্রামের একটি কুয়োর মধ্যে একটি হানি ব্যাজারের দেখা মেলে। সারারাত প্রাণীটি কুয়োর মধ্যেই পরে থাকে। তারপর সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ”দা ফিসিং ক্যাট প্রজেক্ট ” এবং ”চিল্কা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ” যৌথ প্রয়াসে চিল্কায় ক্যামেরা বসানো হয়। ২০২২ এ সেই ক্যামেরায় ধরা দেন বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীটি। আফ্রিকা এবং এশিয়ার বিস্তীর্ণ অংশে বেশ ভালো মাত্রায় হানি ব্যাজারের দেখা মেলে। ভারত এর দেখা মেলে কস্মিনকালে। ওয়াইল্ডলাইফ বায়োলজিস্টরা বলছেন পূর্বঘাট পর্বতমেলায় হানি ব্যাজারের দেখা পাওয়া যায়। এরা সহজেই শুকনো এলাকার সঙ্গে মানিয়ে নেয়। যেকোনো ধরণের ভূমি বা পরিবেশে এরা মানিয়ে নিতে পারে। কারণ হানি ব্যাজার সাপ, বিচে,ইঁদুর ,টিকটিকি সব কিছু খায়। তাছাড়া এই প্রাণী বেশিরভাগ রাতের অন্ধকারে বের হয়। তাই সহজে এদের দেখা মানুষ পায়না। তবে চেষ্টা করতেই পারেন। কপাল ভালো হলে চিল্কাতেই দেখা পেতে পারেন সেলিব্রিটি এই চতুষ্পদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *