পয়লা এপ্রিল থেকে বৃদ্ধি পেল ওষুধের দাম
অনুশকা মণ্ডলঃ পয়লা এপ্রিল থেকে বৃদ্ধি পেল বেশকিছু ওষুধের দাম। জানা যাচ্ছে তালিকায় প্রায় ৮০০ ওষুধ রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে প্যারাসিটামল, অ্যান্টিসায়োটিক, পেইনকিলারের মতো ওষুধও। আর এই মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত বর্ধিত দাম প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে তৃণমূল। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে করে স্পষ্টভাবে বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করার দাবিও জানান কুণাল ঘোষ। তিনি লেখেন, ‘আজ থেকে বাড়ছে প্রায় আটশো ওষুধের দাম। ভিটামিন, রক্তচাপ, সুগার,কোলেস্টেরল, অ্যান্টিবায়োটিক, জ্বর, সর্দি, কাশির ওষুধও এই তালিকায় থাকছে। যাঁরা নিয়মিত কোনও ওষুধ খান, তাঁদের উপর আর্থিক চাপ বাড়বে। এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। কেন্দ্রীয় সরকার অবিলম্বে এই মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার করুক।’ ২০১৩ সালের ড্রাগ প্রাইস কন্ট্রোল অর্ডার অনুযায়ী ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (NPPA) বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, স্টেরয়েড, অ্যান্টিবায়োটিক, পেইনকিলার,ভিটামিন, রক্তচাপ, সুগার, কোলেস্টেরল এবং জ্বর সর্দি কাশির মতো প্রায় ৮০০ ওষুধের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বিগত বছরের তুলনায় এবারের দাম বৃদ্ধি খুবই কম বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।
কারণ, বিজ্ঞপ্তিতে এনপিপিএ-র তরফে জানান হয়েছে, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রকের অধীন উপদেষ্টামণ্ডলীর সুপারিশ মেনে, হোলসেল প্রাইস ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ি ৭২৬ রকমের ওষুধের ঊর্ধ্বসীমা স্থির করা হয়েছে, যা পুরনো দামের থেকে ০.০০৫৫১% বেশি। সেক্ষেত্রে বলা চলে, ভোটের মুখে দাম বাড়ল অ্যান্টিবায়োটিক, পেইনকিলার-সহ প্রায় ৮০০ ওষুধের। এবারে একেবারে নগন্য হারে দাম বৃদ্ধির ফলে আমজনতার পকেটে তেমন চাপ পরবে না বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য কর্তারা দাবি করলেও, সংশয়ে পরেছেন নিত্য অত্যাবশকীয় ওষুধ ব্যবহারকারীরা। কারণ, বহু দরিদ্র মানুষকে প্রতিদিন রক্তচাপ বা সুগারের ওষুধ খেতে হয়। তাঁদের কাছে সামান্য বৃদ্ধিই অনেক বড় চিন্তার বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশও। তবে কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবিটিসের ৬৯টি ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যেই নতুন করে ঊর্ধ্বসীমা স্থির করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছর ১২ শতাংশ হারে ও তার আগের বছর ১০ শতাংশ ওষুধের দাম বৃদ্ধিতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘১ এপ্রিল থেকে ৮০০টি জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়ছে। হার্টের ওষুধ থেকে হিমোগ্লোবিনের ওষুধ, সব ওষুধেরই দাম বাড়ানো হচ্ছে।’ এই পরিস্থিতিতে ওষুধের দাম তাঁদের খরচ বাড়িয়ে তুলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।