![](https://24hrstv.com/wp-content/uploads/2024/03/ANI-20240319061432.jpg)
রাজীব কুমারের অপসারণ ইস্যুতে ডেরেকের পোস্টের পাল্টা সুকান্তর
24 Hrs Tv:নিজস্ব প্রতিনিধি: আদর্শ নির্বাচনী আচরণ বিধি চালুর পরই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। অপসারিত হয়েছে্ন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের মহানির্দেশক (ডিজিপি) রাজীব কুমার। যুক্ত থাকতে পারবেন না নির্বাচনের কোনও কাজে। এই অপসারণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া এসেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল থেকে। সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ডেরেক ও’ব্রায়েন দাবি করেছেন, “অবাধ, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে ভোট চাই।” রাজ্যের শাসক শিবির থেকে এমন প্রতিক্রিয়া সামনে আসতেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
মঙ্গলবার বাগডোগরা পৌঁছে সুকান্ত এপ্রসঙ্গে বলেন, ” ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং তাঁর দলের নেতারা নতুন সংবিধান তৈরি করতে চাইছেন।” এখানেই থেমে না থেকে সুকান্ত সরাসরি আক্রমণের পথে হেঁটে বলেন, ” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন করে সংবিধান লিখতে চাইছেন।” সুকান্ত আরও দাবি, “নির্বাচন কমিশনকে বিভ্রান্ত করার জন্য তৃণমূল এই আক্রমণের পথ বেছে নিয়েছে। কমিশন মমতার কথা অনুযায়ী কাজ করবে না।” রাজ্য বিজেপি সভাপতির যোগ করে বলেন,” নির্বাচন নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের একটা দায়িত্ব আছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন এই প্রতিষ্ঠান রাজ্য নির্বাচন কমিশনের মতো কাজ করে না।”
উল্লেখ্য, সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট ডেরেক ও’ব্রায়েন দাবি করেছেন, “নির্বাচন কমিশনের মতো সংস্থাকে ধ্বংসের কৌশল নিয়েছে বিজেপি। বিজেপি কি জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পাচ্ছে? সেই কারণেই কি নির্বাচন কমিশনকে পার্টি অফিস বানিয়ে বিরোধীদের নিশানা করছে? নির্বাচিত সরকারের আধিকারিককে বদলি করা হচ্ছে!”
রাজীব কুমারের অপসারণ ইস্যুতে গতকালই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ দাবি করে বলেছেন, “বিজেপি নিজস্ব অ্যাজেন্ডা অনুযায়ী কাজ করছে।”তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ডিজির অপসারণ প্রসঙ্গে বলেন, “এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলিকে দখল করে নিতে চাইছে বিজেপি। তারা এজেন্সিগুলিকে ইতিমধ্যে দখল করে ফেলেছে। নির্বাচন কমিশনে বিচারবিভাগের শীর্ষ প্রতিনিধিকে সরিয়ে নিজেদের লোক বসানোর ব্যবস্থাপনা করেছে বিজেপি।”কুণাল আরও বলেন, “ভোট ঘোষণার পর প্রথমেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ। ডিজিকে সরিয়ে দেওয়া হল। বিজেপি আসলে এই ধরনের সংস্থাকে দখল করে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই সিদ্ধান্তেও তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, বিজেপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের অভিযোগ আগেও তুলেছে তৃণমূল। ইডি, সিবিআইয়ের মতো সংস্থা যতবার দুর্নীতির তদন্তে সক্রিয় হয়ে উঠেছে, ততবারই বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছে রাজ্যের শাসকদল।