বিজেপি নেতা খুনে এনআইএ তদন্তের দায়িত্বভার গ্রহণের ডেডলাইন বেঁধে দিল আদালত

24 Hrs Tv:নিজস্ব প্রতিনিধি: পূর্ব মেদিনীপুরে বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার খুনে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত নির্দেশ দেন, ১৫ দিনের মধ্যে তদন্তের দায়িত্ব নিতে হবে এনআইএ-কে। নির্দেশ কার্যকর করার কথা জানিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে ২৪ এপ্রিলের মধ্যে ।

হাইকোর্টের এই নির্দেশ কার্যকর করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে নিহতের আইনজীবীরা একের পর চিঠি পাঠালেও তা কার্যকর করতে কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ না করায় হতাশ হাইকোর্ট। আর তাই এবার ডেডলাইন বেঁধে দিল আদালত। আদালতের বক্তব্য, এটা দুর্ভাগ্যের যে হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করতে কোনও রকম পদক্ষেপ করতে আগ্রহ দেখায়নি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শুধু কেন্দ্রের আইনজীবীরাই নন, এএসজি গত ফেব্রুয়ারি নিজে চিঠি লিখে নির্দেশ কার্যকরের জন্য সুপারিশ করেছেন। তারপরেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি।

বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তিনি বাকচায় বিজেপি-র ২৩৪ নম্বর বুথের সভাপতি ছিলেন। অভিযোগ স্ত্রী-ছেলেকে মারধর করে, বাইকে চাপিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা । রাতে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে উদ্ধার হয় দেহ । মাথায় ভারী কিছু দিয়ে মেরে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছিল ।

পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপি নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার খুনে এনআইএ তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়ে গড়িমসি করায় এদিন চরম বিরক্তি প্রকাশ করেন বিচারপতি সেনগুপ্ত । কেন্দ্রের মতামত জানানোর জন্য সময় চেয়ে ফের মামলা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জিতে বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন । বিচারপতির প্রশ্ন, কবে কেন্দ্র নিজেদের অবস্থান জানাবে, তার জন্য কি রোজ মামলাটা তালিকায় রাখতে হবে ? অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেলকে ডাকার পরেও তিনি উপস্থিত হচ্ছেন না । ওনার কাছে কি মামলাটার গুরুত্ব নেই ? আপনাদের মনে হচ্ছে কোর্টের প্রচুর সময় আছে ? ওই একটা মামলায় কখন কেন্দ্র তার মতামত জানাবে, তার অপেক্ষায় রোজ এজলাস ডাকবে ? দুপুর ২টোয় কেন্দ্রকে জানাতে হবে তারা এই তদন্ত এনআইএ-কে দেবে কি না।

এরপর দ্বিতীয়ার্ধে আদালতের অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল বিচারপতি সেনগুপ্তের এজলাসে হাজির হন। এর আগে ময়নায় বিজেপি নেতা, বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুন সংক্রান্ত মামলায়, এনআইএ-কে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। মামলাকারী আইনজীবীর অভিযোগ ছিল, প্রথমে বোমা পাওয়ার কথা আদালতের নির্দেশে রাজ্য যুক্ত করা হলেও ,তা চার্জশিট থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি গোপন জবানবন্দিতে যাদের নাম ছিল, তাদের নামও বাদ দিয়েছে রাজ্য। যা শুনে বিস্মিত হল বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত । তারপরেই জরুরি ভিত্তিতে এনআইএ- কে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *