বেসুরো স্বীকারোক্তির ফর্ম তৈরি করলেন দেবাংংশু ভট্টাচার্য ,ফর্মটির বিষয়ে জেনে নিন।

Read Time:3 Minute

একুশের ভোটের আগে দেখা গিয়েছিল দলবদলের হিড়িক।একবারে সেই মনে হচ্ছিল যেন এই দেশে বন‍্যা হবে তাই অন‍্য দেশে চলে যায়। বাঁচতে হবে তো এই দেশে থাকলে বন‍্যায় ডুবে যাব আর ওই দেশে তো বন‍্যা হয় নি চলো ওই দেশে যাব ।আবার দেখুন বন‍্যার আভাস দেখা গেল অন‍্য দেশেই,নিজের দেশে বন‍্যাই হয়নি।বন‍্যা হয়েছে যে দেশে বন‍্যা হবে না বলে তারা গিয়েছিল।তাই আবার তারা ফিরে আসছে।আর হ‍্যাঁ এরকমই হয়েছিল ভোটের আগে।আর ভোটের পরেও এরকমই হচ্ছে।

একুশের মহাকরণে অনেকে দলবদল করেছিল।সবুজ রং থেকে গেরুয়া রং এ রূপান্তরিত হয়েছিল।কিন্তু ভোট মিটতেই তারা আজ বেসুরো তারা আবার সেই সবুজ রঙেই ফিরতে চাইছেন।কেউ কেউ গেরুয়া রং ছেড়ে দিয়েছেন ।আবার কেউ কেউ ক্ষমাও চাইছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় এর কাছে।

একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়াসঙ্গী হিসেবে পরিচিত ছিলেন সোনালী গুহ ৷ কিন্তু ভোটের আগে টিকিট না পেয়ে কান্নাকাটি করে একাকার।চলে গিয়েছিলেন গেরুয়া রঙে।কিন্তু ভোট মিটতেই আবার ফিরে আসার জন‍্য ক্ষমা চাইছেন। আবার সিবিআইয়ের গুঁতো খেয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়-বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ও মমতা-নাম জপতে শুরু করেছেন ৷

আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যের একটি পোস্ট ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।কিছুটা মজার ছলেই এই ঘরে ফেরার আবেদনপত্র তৈরি যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে একটি ফর্মের ছবি আপলোড করেছেন দেবাংশু।কী আছে এই ফর্মে দেখে নিন? ফর্মের প্রস্তুতকারকের নামের স্থানে দেবাংশু নিজেই নিজের নামটা লিখেছেন।ফর্মে নিজের নাম, বিধানসভা, লোকসভা কেন্দ্র লিখতে হবে।কী কারণে বেসুরো হয়েছিলেন আবার কী কারণেই বা সুরে ফিরতে চান সেটা লিখতে হবে।পাশাপাশি তাঁরা নিজেদেরকে ধান্দাবাজ মনে করেন কিনা, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এটুকু পোস্ট করেই ক্ষান্ত হননি, নীচে দেবাংশু লিখেছেন, “সুর” ফিরে পেতে চাওয়া “বেসুরো” ব্যক্তিরা এই ফর্ম ডাউনলোড করে, ফিলাপ করে উল্লিখিত ঠিকানায় জমা দিন।

দেবাংশুর ফর্ম এখন সোশ্যাল মিডিয়া খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।অনেকে এই বিষয়ে কমেন্টও করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *