ক্রমশই বাড়ছে তৃণমূলের ঘরে অসন্তোষ! ক্ষিপ্ত দলেরই বড় অংশ

24 Hrs Tv:নিজস্ব প্রতিনিধি:আসন্ন লোকসভা নির্বাচন আর লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই গোটা দেশের মতোই পশ্চিমবঙ্গের চিত্রটাওরাজনৈতিক দলগুলি একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে চলেছে সমানে। ঢাল তলোয়ারের যুদ্ধ নয়, এ যুদ্ধ মানুষের মন জয়ের।মানুষের মনে জায়গা করে নিতে অভিনব কায়দায় একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছেন সকলেই।অবশ্য শেষমেশ জনগন কিসে খুশি হলেন সেতো সময় বলবে, কিন্তু সময়ের আগেই অসন্তুষ্ট দলেরই বৃহদাংশ!

শাসক দলের নিজ গৃহেই অশান্তি ধরা পড়ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে। ভোট যতো এগিয়ে আসছে তৃণমূলের সেই দ্বন্দ্ব যেনোবেড়েই চলেছে ক্রমশ। ঘটনাকে তুলে হামেশাই কথা বলছেন বিরোধীরা। এমনকি প্রচারেও শোনা যাচ্ছে সেই সুর।মূলত এই ঘটনা বেশি মাথা চারা দিয়েছে তৃণমূলের প্রার্থী ঘোষণার পর থেকে।’মূলহীন প্রার্থী’ দের লড়াইয়ের মাঠে নামানো হচ্ছে দাবি দলেরই কর্মীদের। এ বিষয়ে অবশ্য অনেকেই বলছেন মমতা ব্যানার্জি একাই একশো।আবার অনেকেই বলছেন শুধু মমতা জয়ের নিশ্চয়তা দিতে যথেষ্ট নন।

মমতা ব্যানার্জি কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘জন গর্জন সভা’ (জনগণের গর্জন) সমাবেশে র‌্যাম্প ধরে হাঁটছেন।তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসভা প্রার্থীরা, অন্যদিকে দলের বিশ্বস্ত ভিড় এই বছরের লোকসভা নির্বাচনের অন্যতম আকর্ষণীয় চিত্র।সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে দলের বৃহদাংশের ভাঙনে কপালে ভাঁজ অনেকেই।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বিশ্বাস করেন যে যদিও স্বল্প পরিচিত ব্যক্তিদের মধ্যে মতবিরোধ টিএমসির নির্বাচনের সম্ভাবনাকে উল্লেখযোগ্যভাবেপ্রভাবিত করতে পারে না, তবে মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তার উপর দলের নির্ভরতার কারণে, এটি বর্ণগত গতিশীলতার কারণে, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গেবিজেপির জন্য উদ্বেগের কারণ হতে পারে।” TMC,ব্যানার্জী আধিপত্য ধরে রেখেছেন, এই ব্যক্তিদের অসন্তোষকে গুরুত্বহীন করে তোলে কারণ তাদের উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ওজন নেই,” বলেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী শুভময় মৈত্র।

অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাইদুল ইসলাম, ২০১৯ সালে বিজেপির পক্ষে বর্ণ সমীকরণের প্রধান ভূমিকা তুলেঅসন্তোষের ঘটনায় প্রথম তালিকায় যার নাম তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোট ভাই, বাবুন ব্যানার্জি, হাওড়া আসনের জন্য মনোনীত না হওয়ার পরে তার বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন, যেখানে টিকিট পেয়েছেন বর্তমান সাংসদ প্রসূন ব্যানার্জি।মুখ্যমন্ত্রী তার ক্ষোভের পরে তার ভাইকে অস্বীকার করেছিলেন।একইভাবে রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম বেনজির নূর এবং দলের মুখপাত্র সান্তনু সেন সহ অন্তত পাঁচজন সিনিয়র টিএমসি নেতা, যারা যথাক্রমে মালদা উত্তর এবং দমদম আসন থেকে মনোনয়ন চাইছিলেন, টিকিট প্রত্যাখ্যান করার পরেঅসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। তালিকায় রয়েছেন মন্ত্রী ছাড়াও দলের ছোটো থেকে বড়ো অনেক নেতা কর্মীরাও। এখন প্রশ্ন একটাই এত কিছুর পরেও কি নির্বাচনের আগে ঘর গোছাতে পারবে তৃণমূল? কিভাবে নেবেন সাধারণ মানুষ পুরো বিষয়টা? এর প্রভাব ভোট বক্সে কতোটা পড়বে, সেটা জানতে সর্বোপরি সকলকেই তাকিয়ে থাকতে হবে ৪ জুনের দিকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *