নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ কিম জং উনের

গার্ডিয়ানের প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কিম জং উনের বাবা কিম জং ইল ২০১১ সালে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান। এরপর উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতায় বসেন কিম জং উন। সেই সময় যথেষ্ট মোটা ছিলেন তিনি। তাঁর স্থুলতা নিয়ে অনেক সময়েই আলোচনাও হয়েছে। গত শনিবার উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমে কিমের যে ছবি প্রকাশ করেছে, তাতে একেবারে অন্যরকম কিমকে দেখা গিয়েছে। প্রায় একমাস কিমের খবর সামনে আসেনি। কিন্তু গত সপ্তাহে কিম জং উনকে রুলিং পার্টির সঙ্গে এক ছবিতে দেখা গিয়েছে কিমকে।

এরপরে একাধিক ছবি সামনে এসেছে কিমের। সামনে আসা ছবিতে ৩৭ বছর বয়সী কিম জং উনকে বাম হাতের কবজিতে ১২ হাজার ডলার মূল্যের প্রিয় ঘড়ি পরা অবস্থায় দেখা গিয়েছে। কিন্তু ২০২০ নভেম্বর এবং চলতি বছরের মার্চ মাসে নেওয়া কিমের ছবির তুলনায় নতুন ছবিতে কিমকে অনেকটাই রোগা লাগছে।

কীভাবে এত রোগা হলেন কিম? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর তরজা। উত্তর কোরিয়া একটা সূত্র বলছে, বাড়িতে বসে ব্যায়াম করে রোগা হয়েছেন কিম। গত বছর দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, কিম জং উনের ওজন ১৪০ কেজি। ২০১১ সালে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতা গ্রহণের পর তার ওজন প্রতি বছর গড়ে ৬-৭ পাউন্ড বেড়েছে। মার্চ মাসে করোনা মহামারিতে কিম নিজেকে কিছুটা বিচ্ছিন্ন করে পরিবারকে সময় দিয়েছিলেন। সূত্র মাফিক জানতে পারেন গোয়েন্দারা। ফের একবার উধাও হলেন…ফিরলেন রোগা হয়ে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কারণটা অজানা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *