গতবছরের মতো এবারও ঘূর্ণিঝড়ের ভয় কাঁপছে সারা বাংলা

Read Time:2 Minute

গত বছর করোনার প্রথম ঢেউ চলাকালীন বাংলার মাটিতে আছরে পরেছিল ‘আমফান’। একদিকে করোনা অন্য দিকে ঐ ঝড় মানুষের কাল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। এবছরও একই ঘটনা ঘটতে চলেছে। ‘ইয়াস’ নামক এই ঘূর্ণিঝড় ক্রমশঃ শক্তিশালী হয়ে ধেয়ে আসছে বাংলার দিকে।

এবছর ‘ইয়াস’ পূর্বাভাসে ভয় কাঁটা হয়ে রয়েছেন উপকূল এলাকা তথা পশ্চিমবঙ্গবাসী। আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে, আজ পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন আন্দামান সাগরে নিন্মচাপ তৈরীর সম্ভবনা রয়েছে। এই নিন্মচাপ ঘূর্ণিঝড় তৈরি হবে সোমবার। তারপর আরও শক্তি বারিয়ে উত্তর পশ্চিম দিকে এগোবে এই ঝড়। অনুমান করা হয়েছে আগামী বুধবার নাগাদ বাংলার উপকূল সংলগ্ন এলাকায় আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়।

বেশ কয়েকদিন যাবত রাজ্যের খুব গরম পড়েছে। তবে আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এরাজ্যে আগামী মঙ্গলবার থেকেই বৃষ্টি শুরু হবে। ২৫ তারিখ থেকে রাজ্যের উপকূলীয় এলাকা গুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা রয়েছে। তবে আবহাওয়া দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী ২৬ তারিখ দীঘা ও পারাদ্বীপ এর মাঝে কোনো একটি অঞ্চলে আছড়ে পড়বে এই ঘূর্ণিঝড়। এই ঘূর্ণিঝড়ের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে পূর্ব মেদিনীপুরে। এছাড়াও কোলকাতা, সুন্দরবন ও দুই ২৪ পরগণায় প্রভাব ফেলবে এই ঝড়। তবে আবহাওয়া দফতরের অনুমান অনুযায়ী বলা হয়েছে এবার এই ঘূর্ণিঝড় কোলকাতায় গত বছরের মতো তান্ডব চালাতে পারবে না।

এই ঝড়ের সম্ভবনা রয়েছে বলে সরকার আগেই মৎস্যজীবীদের সতর্ক করেছেন। সরকার ২৩ শে মে-র পর থেকে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করেছে। আর যারা মাঝ সমুদ্রে আছেন তাদের ২৩ মে-র দিন সকালেই ফিরে আসতে বলেছেন। ‘আমফান’ ঝড় বিধ্বস্ত করে দিয়েছিল বাংলার অনেক জায়গা। তাই এই বার সরকার ঝড় মোকাবিলা করার আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *