পেটের দায় চানা মশলা বিক্রি করেই দিন চলতো ছোট্ট ছেলেটির, আবার ও লকডাউন হওয়ায় ক্ষতি রেলস্টেশনের এই বিক্রেতাদেরই

সারা দেশেই এখন করোনার কালো ছায়া পড়েছে। দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে দেশবাসীকে। এই মুহূর্তে হাসপাতালে বেডের, অক্সিজেনের ও রক্তের অভাব দেখা যাচ্ছে। আর এই অক্সিজেনের ঘাটতির ফলেই মৃত্যু হয়েছে অনেক মানুষের।

তবে দেশের মতো রাজ্যের অবস্থাও একই রকম। এরাজ্যেও খুব দ্রুতগতিতে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তাই রাজ্য সরকার সংক্রমণ রুখতে লকডাউন ঘোষণা করেছেন টানা ১৫ দিনের। এই লকডাউন অনেকে ব্যবসায়ীর জন্য খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। গতবছরও একই অবস্থা হয়েছিল। তবে এবার রেল স্টেশনে থাকা বিক্রেতারা এবং ট্রেনের মধ্যে হকারি করা মানুষদের পেটে লাথি মেরেছে করোনা। এক দিকে বেঁচে থাকার লড়াই তো অন্যদিকে না খেয়ে বেঁচে থাকার লড়াই।

শিয়ালদা থেকে সাউথের দিকে মাস্ক বিক্রি করতে‌ দেখা যাবে ছোট্ট মহম্মদ নুর‌ নামের ১২বছর বয়সের‌ একটি ছেলেকে। মাঝেমধ্যে চানা মশলা বিক্রি করতেও দেখবেন। এখন রেলস্টেশন একদম ফাঁকা থাকায় খুবই কম খদ্দের পান তিনি। যে বয়সে পড়াশোনা করে স্কুলে যাওয়ার কথা সেই বয়সে পেটের দায়ে রোজগার করতে হচ্ছে শিশুটিকে।

সত্যি আমরা কখনও এদের‌ দিকে তাকিয়েও দেখি না। কিন্তু এই ছেলেটা এত ছোট্ট বয়সে দুটো পয়সা রোজগার করে টাকা তুলে দিচ্ছে সংসারের হাতে। কিন্তু এই লকডাউনের ফলে নাজেহাল অবস্থা এই ধরনের ব্যবসায়ীদের। প্রত্যেক দিনের খাবার জোগাড় করাটাও অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে এদের কাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *