৪৬ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা শুরু ৩০ জানুয়ারি

২৪ আওয়ার্স টিভি, সৌরভ দত্ত : আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হল ২০২৩ সালের কলকাতা বইমেলার উদ্বোধনের দিনক্ষণ। ৪৬তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা শুরু হবে আগামী বছর ৩০শ জানুয়ারি। চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত। এবার বইমেলার থিম কান্ট্রি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে স্পেনকে।

২০০৬ সালের পর এ বছর আবারও বইমেলার থিম হিসেবে ইউরোপের এই দেশকে বেছে নেওয়া হয়েছে। শহরের একটি পাঁচতারা হোটেলে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলারস গিল্ডের তরফে বইমেলার সূচি ঘোষণা করেন গিল্ড সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, গিল্ড সভাপতি সুধাংশু শেখর দে। উপস্থিত ছিলেন স্পেনের রাষ্ট্রদূত যোসে মারিয়া রিদাও দোমিনিগেজ।

৪৬তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার ফোকাল থিম কান্ট্রি স্পেন। এর আগে ২০০৬ সালে বইমেলার থিম কান্ট্রি হিসেবে স্পেন অংশগ্রহণ করেছিল। সে বছর বইমেলার থিম প্যাভিলিয়নে ভারতের স্প্যানিশ দূতাবাস ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি মউ স্বাক্ষরিত হয়। যার পরবর্তীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্প্যানিশ ভাষাশিক্ষা বিভাগে স্পেন সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবছর একজন অধ্যাপককে পাঠানো শুরু করে।

এছাড়াও স্পেন থিম কান্ট্রি হবার পর সে বছর থেকে কলকাতায় বিদেশি ভাষা হিসেবে স্প্যানিশের উপর ডিপ্লোমার আন্তর্জাতিক পরীক্ষা DELE শুরু হয়। যার পরিচালনা করেন স্পেন সরকারের ইনস্টিটিউট অফ সার্ভান্তেস। ফের একবার আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার ফোকাল থিম কান্ট্রি হিসেবে অংশ নিতে পেরে খুশি স্পেনের রাষ্ট্রদূত যোসে মারিয়া রিদাও দোমিনিগেজ। তিনি এদিন সাংবাদিক বৈঠক বলেন, “আমাদের বিশ্বাস বইমেলায় স্পেনের এই অংশগ্রহণের ফলে দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধন আরও দৃঢ় হবে।”

স্পেন ছাড়াও প্রতিবছরের মতো আগামী বইমেলাতেও অংশ নেবে একাধিক দেশ। তালিকায় রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, রাশিয়ার মতো দেশগুলি। এছাড়াও ২০২৩ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার অন্যতম বিশেষ আকর্ষণ নবম কলকাতা লিটারেচার ফেস্টিভ্যাল। যা অনুষ্ঠিত হবে চলতি বছরের ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। গত বছরের মতো এবারেও আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার প্রত্যেক মুহূর্তের ভার্চুয়াল আপডেট তুলে ধরা হবে গিল্ডের ওয়েবসাইট এবং সোশাল মিডিয়ায় প্ল্যাটফর্মগুলিতে।

করোনা পরিস্থিতিতে বাতিল করতে হয়েছিল ২০২১ সালের বইমেলা। এরপর ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় এসেছিলেন প্রায় ২২ লাখ বইপ্রেমী। বই বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ২৩ কোটি টাকা। যা অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। আগামী বইমেলায় বইপ্রেমীদের সংখ্যা সমস্ত রেকর্ডকে ছাপিয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

এবার স্টলের জন্য ইতিমধ্যেই আবেদন করে ফেলেছেন অনেক বেশি সংখ্যক প্রকাশক। গতবছর কোভিডের কারণে অংশগ্রহণকারী প্রকাশক এবং স্টলের সংখ্যা কম রাখতে বাধ্য হয়েছিল গিল্ড। এ বছর তা বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *