এবার রাজ্য পেল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা !

২৪ আওয়ার্স টিভি, ওয়েব ডেস্ক : এবার প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটের আগেই বড় ধামাকা । অবশেষে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা রাজ্য সরকারের কোষাগারে ঢুকল । রাজ্য পেল গ্রামীণ আবাস প্রকল্পের ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা । এই টাকা মোট ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির জন্য বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর , প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা ১১ লক্ষ বাড়ি নির্মাণের জন্য খরচ হবে। তবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের মোট খরচের ৬০ শতাংশ দেবে কেন্দ্র এবং ৪০ শতাংশ দেবে রাজ্য । এই কারণে কেন্দ্র ১১ লক্ষ বাড়ি নির্মাণের জন্য ৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা রাজ্যকে দিয়েছে ।

উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রী থেকে রাজ্যের মন্ত্রী, বিধায়কেরা একাধিক বার অভিযোগ করেছেন যে , ১০০ দিনের কাজ থেকে আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্র দিচ্ছে না । তবে প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার প্রকল্পের টাকা কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে দেওয়ার ঘটনা এক বিশেষ তাৎপর্যমূলক । রাজনৈতিক মহলের অধিকাংশের দবি এই টাকা পাঠানোর পিছনে পঞ্চায়েত ভোট বড় কারণ । বুধবার মিঠুন চক্রবর্তীর পুরুলিয়ার জনসভায় আবাস যোজনায় ঘর দেওয়া নিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন । এই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরদিনই রাজ্যের কোষাগারে কেন্দ্রের তরফে টাকা ঢোকা এক তাৎপর্যপূর্ণ । পুরুলিয়ার জনসভায় অনেকেই মহাগুরু-কে আবাস যোজনার ঘর না পাওয়ার কথা জানিয়েছে । তবে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না বলেও অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন । সেই জনসভায় মিঠুন বলেন , “ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর , সড়ক যোজনা, ১০০ দিনের কাজের টাকা সব কিছুই পাবেন । এর থেকে কেউই বঞ্চিত হবেন না।”

এছাড়াও তিনি আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ঘর দেওয়ার জন্য আবাস যোজনা করেছেন। কিন্তু এখানে টাকা কাকে পাঠাবে ? এরা সবাই তো নিয়ে বসে আছে। কেন্দ্র তার জন্য হিসাব চেয়েছে। তবে কিছুদিনের জন্য টাকা আটকে রেখেছে। হিসাব দিলেই টাকা দিয়ে দেবে।” মহাগুরুর এই প্রতিশ্রুতির পরদিনই কেন্দ্রের তরফ থেকে রাজ্য পেল আবাস যোজনার টাকা । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী ৫ ডিসেম্বর দিল্লি যাবেন । প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর মুখোমুখি হওয়ার দারকার । কিন্তু মুখোমুখি হওয়ার আগেই কেন্দ্র থেকে আবাস যোজনার টাকা ঢুকিয়েছে । এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা ঢোকার ফলে রাজ্য সরকারের উন্নয়নকে অনুপ্রাণিত করবে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *