‘পান্তা ভাত খেয়ে বিরিয়ানির ঢেঁকুর তোলা উচিত না’, নওশাদকে কটাক্ষ দেবাংশুর
24 Hrs Tv:নিজস্ব প্রতিনিধি: অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে হাই কোর্টের শর্ত সাপেক্ষে নেতাজি ইণ্ডোর স্টেডিয়ামে দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করেছিল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)। আর ওই প্রতিষ্ঠা দিবসের দিনে স্টেডিয়ামে হাতেগোনা গোটা কয়েক দলীয় কর্মীদের মাঝে দলের একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে ‘ডায়মন্ড চ্যালেঞ্জ’ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন।
রাজ্য রাজনীতিতে এই ‘ডায়মন্ড চ্যালেঞ্জ’ ছিল লোকসভা আসন ডায়মন্ড হারবার থেকে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেকের বিরুদ্ধে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার হুঙ্কার নওশাদের। এরপর থেকেই জল্পনা চলছিল অভিষেকের বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াইতে দেখা যেতে পারে নওশাদকে। সময় গড়ানোর সঙ্গে এই কানাঘুষো পোক্তও হতে থাকে।
তবে তাল কাটে বামেদের সঙ্গে আইএসএফের আসন রফা নিয়ে। সুজন থেকে বিমান সকলেই আই এস এফের দর কষাকষির জেরে সম দূরত্বের নীতি নেয়। আর এর জেরে জলঘোলা হতে থাকে। এবং অবশেষে নওশাদের দল একক লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচনে। আইএসএফের এই সিদ্ধান্ত সামনে আসার পর অনেকেই নানা ভাবে বিষয়টিকে দেখছে। কেউ কেউ সেটিং তত্ত্বকে সামনে এনেছে।
তবে গোটা বিষয় নিয়ে এরপরেই নওশাদ সিদ্দিকিকে নিশানা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র তথা তমলুকের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা ছিল এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হবেন নওশাদ। নিজের মুখেই সেই কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। তবে সেগুরে বালি। এই কেন্দ্র থেকে আইএসএফের তরফে প্রার্থী করা হল মজনু নস্করকে। শেষমেষ নওশাদ রণে ভঙ্গ দিলেন সেই নিয়ে খোঁচা তৃণমূলের। দেবাংশু নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ে বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চেয়ে, নিজেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তারপর নিজেই সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়াকে নৌশাদ সিদ্দিকী বলে। এই জন্যই আমরা বলি, পান্তা ভাত খেয়ে বিরিয়ানির ঢেঁকুর তোলা উচিত না।’ উল্লেখ্য, এই কেন্দ্রে দাঁড়ানোর কথা নিজেই জানিয়েছিলেন নওশাদ।ডায়মন্ড হারবারের পাশাপাশি বসিরহাট, যাদবপুর কেন্দ্রেই প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে আইএসএফ। ফলত, জোট বা আসন সমঝোতার বিষয়টি অনেকটাই ধাক্কা খেল বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলে। যদিও, বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস, সিপিএমের ওপরেই দায়ভার চাপিয়েছে আইএসএফ।