শিক্ষকের মৃত্যু ঘিরে নয়া মোড় !

২৪ আওয়ার্স টিভি, ওয়েব ডেস্ক : বাংলাতে আত্মহত্যার সংখ্যা আগের থেকে বেড়ে গিয়েছে । সাম্প্রতিককালে প্রতিহিংসার কারণে খুনের ঘটনাও যেন বাঁধ ভেঙেছে । মঙ্গলবার, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়না থানার থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে । এই মৃত ব্যক্তির নাম মানস পাড়ই । তিনি দক্ষিণ আনুখা মোক্ষদা বিদ্যাভনে শিক্ষকতা করতেন । সূত্রের খবর , পরিবারের অভিযোগ , শিক্ষককে খুন করা হয়েছে কিন্তু প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ আত্মহত্যা বলে মনে করছে । এ ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে । অবশ্য সোমবার রাত থেকে খোঁজ মিলছিল না তাঁর । ফলে পরিবারের লোকের চিন্তা বাড়ে । এলাকার বাসিন্দারা বাড়ির আশেপাশে বিভিন্ন জায়গায় তাঁর খোঁজ শুরু করেন। অবশেষ বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি গাছ থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ।

এরপর গাছ থেকে ঝুলন্ত দেহ নামিয়ে ময়না ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হয় । কিন্তু তাঁর শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, মানসবাবু বেশ কিছু দিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন । কিন্তু তিনি কি কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সে বিষয়েটা এখনও সঠিকভাবে জানা যায়নি । ইতিমধ্যেই ময়না থানার পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর দেহটি পাঠিয়েছে । আসল কারণ জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত । বাড়ির সদস্যদের পাশাপাশি প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । সূত্রের খবর , মৃত শিক্ষকের ভাই অমল কুমার পাড়ুই জানান , “দাদা কালকে বিকাল ৫টা নাগাদ শনি মন্দিরের দিকে গিয়েছিল । দাদার বাড়িতে ফিরতে দেরী হতেই বৌদি বেশ কয়েকবার ফোনও করে । কিন্তু ফোন ধরেনি । এরপরই আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করি। খোঁজতে খুঁজতে দেখতে পাই এলাকারই একটা পুকুর পাড়ে গাছে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে । আমাদের মনে হচ্ছে দাদাকে কেউ খুন করেছে। কারণ দাদা আত্মহত্যা করতে পারে না। আমরা দাদার খুনির শাস্তি চাই। আমি যতদূর জানি দাদাকে টাকা দিয়েছিল। কিন্তু, বেশ কয়েক বার চাওয়ার পরেও ফেরত পায়নি। ফলে দাদা এই বিষয়টা কখনওই স্বীকার করেনি। এই বিষয়ে আমাদের কাছেও কিছু প্রমাণ নেই। তবে আমাদের অনুমান দাদা যে ব্যক্তিকে টাকা ধার হিসেবে দিয়েছিল সে এই খুনের পিছনে থাকতে পারে ।” এই ঘটনার তদন্তে করছে ময়না থানার পুলিশ ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *