‘ক্লোজড ডোর মিটিং’-এ কড়া দাওয়াই অভিষেকের
24 Hrs Tv:নিজস্ব প্রতিনিধি: সোমবার শিলিগুড়িতে একটি হোটেলে আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ির তৃণমূল নেতৃত্বকে নিয়ে বন্ধ ঘরে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের অন্দরে কোনও কোন্দল-সংঘাত মনোমালিন্য রেখে নির্বাচন, কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। আলিপুরদুয়ারে দলীয় নেতৃত্বকে স্পষ্ট ভাষায় বুঝিয়ে দিলেন অভিষেক। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল প্রার্থী বলেছেন, “মনোমালিন্য বা দ্বন্দ্ব রাখলে দলের বাইরে চলে যান। দলে থেকে কাজ করতে হবে না। দ্বন্দ্বের কারণে দল হারলে কোনও ভাবেই বরদাস্ত করব না।” এভাবেই উত্তরবঙ্গের ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত’ আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল নেতৃত্বকে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূলের ‘সেনাপতি’।
একইসঙ্গে বার্তা দিলেন জলপাইগুড়ি তৃণমূল নেতৃত্বকেও। জলপাইগুড়ি নেতৃত্বকে তিনি বলেন, কে কী পেয়েছেন, কে কী পেতে পারতেন, কেন পাননি, এখন এগুলি মূল্যায়ন করার সময় নয়। উত্তরবঙ্গে ভাল রেজাল্ট চাই। এটাই তাঁর শেষ কথা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ও জেলায়-জেলায় গিয়ে নেতা-কর্মীদের গোষ্ঠী কোন্দল বন্ধের জন্য কড়া বার্তা দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের আগেও আলিপুরদুয়ারে সেই একই ভূমিকায় দেখা গেল অভিষেককে। ঘাসফুল শিবির সূত্রে জানা যাচ্ছে, তৃণমূল ‘সেনাপতি’ দুই জেলার নেতৃত্বের উদ্দেশেই কড়া বার্তা দিয়েছেন। বলেছেন, “৪৮ ঘণ্টা সময় দিচ্ছি। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিন। নির্বাচনে এক হয়ে লড়াই করতে নামুন।” দলীয় সূত্রে খবর, অভিষেক নাকি সরাসরি বলেছেন,”কলকাতায় বিভিন্ন স্তর থেকে রিপোর্ট গিয়েছে, আপনারা নিজেদের মতো করে চলেন। কেউ কারো কথা শোনেন না।”
দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে অভিষেক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন রাজ্যে তৃণমূল সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরার ওপরে। বৈঠকে অভিষেকের বক্তব্য ছিল, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চা শ্রমিক, আদিবাসী, সংগঠিত শ্রমিকদের জন্য কী কী সুবিধা দিচ্ছেন সেগুলি ভালভাবে প্রচার করা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করুন। বুথে বুথে কাজ করে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী কাজকর্ম গুলির সম্পর্কে মানুষকে জানান। আলিপুরদুয়ারে সাংসদ হিসেবে জন বার্লা কাজ করতে পারেননি বলেই বিজেপি এবার তাঁকে টিকিট দেয়নি। এই বিষয়টি বারবার করে মানুষের কাছে গিয়ে প্রচার করুন।”
গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গে ৮ আসনের মধ্যে ৭ আসনে ফুটেছিল পদ্মফুল। একটি আসন কংগ্রেসের ঝুলিতে। তৃণমূলের ভাঁড়ার ছিল শূন্য। ওই ফলের যেন কোনও ভাবে এবার পুনরাবৃত্তি না হয় এনিয়ে রীতিমতো সতর্ক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দুই জেলার নেতৃত্বকে, এমনটাই খবর।