
মাটির তলা থেকে উদ্ধার হওয়া গুপ্তধন রাখা হবে কলকাতা হাইকোর্ট মিউজিয়ামে !
২৪ আওয়ার্স টিভি, ওয়েব ডেস্ক : উদ্ধার হওয়া রৌপো ও মুদ্রা গুলো কলকাতার মিউজিয়ামে রাখা হবে জানালেন রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকরা। বসিরহাটের সংগ্রামপুর-শিবহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বোলদেঘাটা গ্রামে গত বছরের ৩১,শে ডিসেম্বর অমরুত প্রকল্পের পাইপ বসানোর জন্য মাটি কাটার কাজ চলছিল। মাটি কাটতে হঠাৎই বেরিয়ে পড়ে কিছু চকচকে ধাতব মুদ্রা। তারপরে ক্রমশ মাটি খুঁড়তে খুঁড়তে বেরিয়ে পড়ে একটি মাটির ভাঁড়, তার ভেতর থেকে বেরোতে থাকে অজস্র মুদ্রা। ভালো করে খেয়াল করতেই এলাকাবাসীর চক্ষু চড়ক গাছ। এই ধাতু মুদ্রা গুলি সাধারণ কোন ধাতুর নয়, প্রত্যেকটি মুদ্রাই রুপোর, যার ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে।

প্রতিটা রুপোর মুদ্রায় রানী ভিক্টোরিয়ার প্রতীকি চিত্র তার সঙ্গে এডওয়ার্ড সেভেন নামাঙ্কিত। এই রৌপ্য মুদ্রার ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, ভারতবর্ষে ব্রিটিশদের শাসনকালে এই রৌপ্য মুদ্রার আগমন ঘটেছিল। রৌপ্যমুদ্রার খবর পেয়েই কাতারে কাতারে এলাকাবাসী হাজির হতে থাকে ঘটনাস্থলে, কেউ কেউ তো কিছু রুপোর মুদ্রা নিয়ে চম্পট দেয়।
জমির মালিক জনৈক তপন ব্যানার্জি বলেন, “এই জমি তাদের পূর্বপুরুষদের, তাদের সঙ্গে ব্রিটিশদের যোগাযোগ ছিল কিনা তা তারা জানেন না, কিন্তু তৎকালীন ভারতবর্ষে ব্রিটিশদের শাসনকালে বিনিময় প্রথার জন্য এই রৌপ্য মুদ্রার আগমন হয়েছে বলেই তার মনে হয়।” তারপর জমির মালিক তথা এলাকাবাসীরা পুলিশ ও পি.এইচ.ই. আধিকারিকদের খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেগুলোকে বাজেয়াপ্ত করে।

যেকোনো সিনেমার চিত্রনাট্যের মতো মাটি খুঁড়ে প্রাপ্ত গুপ্তধন বসিরহাটকে ঐতিহাসিক মানচিত্রে একটি জায়গা করে দিল বলেই দাবি এলাকাবাসীর। রাজ্য সরকারের প্রত্নতাত্ত্বিক আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান সেখানে গিয়ে একদিকে মাটির নমুনা অন্যদিকে আর্কিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার কোলকাতা সার্কেলের ডক্টর শুভ মজুমদারের ও কলকাতা হাইকোর্টের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বিপ্লব রায় সহ সাত জনের আদালত ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ৭ জনের প্রতিনিধি দল ও বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ আধিকারিকরা ম্যাজিস্ট্রেটসহ সাত জনের প্রতিনিধিদল আজ গ্রামে এসে পৌঁছায়।