গার্ডেনরিচকাণ্ডে প্রমোটারের ‘খাসলোক’ শেরুর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য

24 Hrs Tv:নিজস্ব প্রতিনিধি: গার্ডেনরিচে নির্মীয়মান বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১৷ বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার হয় আব্দুল রউফ নিজামী ওরখে শেরুর দেহ৷ রবিবার মধ্যরাতে গার্ডেনরিচের নির্মীয়মান বহুতল বাড়ি ভেঙে পড়ে৷ সেদিন থেকেই তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না৷ জানা গিয়েছে, ধৃত প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমের খুব কাছের মানুষ ছিলেন তিনি৷ তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিল লালবাজার৷ শেষে বৃহস্পতিবার রাতে তাঁকে পায় উদ্ধারকারীরা৷ রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসলে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকেরা।

১৭ মার্চ, রবিবার, গার্ডেনরিচে নির্মীয়মান বহুতল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে পাশের ঝুপড়ির ওপর৷ এই ঘটনায় এলাকার সিন্ডিকেটের মাথার নাম পায় কলকাতা পুলিশ। রাতে বহুতলটি ভেঙে পড়ার সময় তার মধ্যেই ছিলেন আব্দুল রউফ নিজামি ওরফে শেরু৷ শেরুর পরিবারও দাবি করে, বাড়ি ভেঙে পড়ার সময় তিনি সেখানেই সিন্ডিকেটের ঘরে ছিলেন। ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে ছিলেন বলেই মনে করা হচ্ছিল।ঘটনার ৪ দিনের মাথায় ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে মিলল শেরুর দেহ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, শেরু ধৃত প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমের ‘সেনাপতি’ ছিলেন৷ এলাকায় সিন্ডিকেট রাজ পরিচালনা করত শেরু৷ তার অধীনে ছিল পরভেজ আহমেদ, শামিম শেখ এবং গুড্ডু-সহ কয়েকশো যুবক। এই ঘটনার তদন্ত নেমে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ জানতে পারে শেরু এলাকার ত্রাস ছিলেন৷ কোন প্রোমোটার কোন এলাকায় কাজ করবেন, তা দেখভালের দায়িত্ব ছিল শেরুর ওপর৷ তবে কে শেরুকে এই দায়িত্ব দিয়েছিল ? শেরুর মাথার ওপর কোন কোন প্রভাবশালীর হাত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা চলছে৷ অন্যদিকে, ঘটনায় ১৫ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে তিনজন- মইনুল হক, সাহিলুদ্দিন গাজী, মুসরত জাহান এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে৷ তাঁদের শারীরিক অবস্থা অনেকটাই স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *