অসুখকে হারাতে জানেন অমিতাভ। তাই আজও সুস্থ বিগ বি।

মুম্বাইয়ের ব্রিজ ক্যান্ডি হাসপাতালের আইসিউ’র বাইরে দাঁড়িয়ে জয়া বচ্চন।তখন চিকিৎসক বলেন ‘যান, মিস্টার বচ্চনকে শেষ বারের মতো দেখে আসুন!’সেই পরিস্থিতিতে চোখে কিছু দেখতে পাননি জয়া, গলার কাছে দলা পাঁকিয়ে উঠেছিলো কান্না।

১৯৮২ সালের ২৬ জুলাই ‘কুলি’ ছবির শুটিং করতে গিয়ে অভিতাভ বচ্চন গুরুতর চোট পেয়েছিলেন।অমিতাভ ও অভিনেতা পুনিতের একটি ফাইট সিকোয়েন্সে অমিতাভ লাফ দিতে সময়ের একটু এদিক ওদিকের জন্য উঁচু থেকে নীচে পড়ে গিয়ে লিভারে মারাত্মক চোট পান অমিতাভ।তখন শুটিং বন্ধ করে হোটেলে নিয়ে আসা হয় অমিতাভকে।পেন কিলারেও ব‍্যাথা কমছিল না।ব্যস সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হসপিটালে ভর্তি করা হয়। ১৯৮২ সালের ২ আগস্ট ব্রিজ ক্যান্ডি হাসপাতালে তখন চলছিল এক জীবন-মরনের প্রাণপণ লড়াই।অপারেশন করা হয়।অপারেশনের পর তাঁর শরীরে রক্তের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।সেই মুহূর্তে তাঁর শরীরে যে রক্ত দেওয়া হয়, তাতে ছিল হেপাটাইটিস বি-র জীবাণু। ফলে অমিতাভের শরীরে সংক্রমণ শুরু হয়ে যায়।তাঁর জীবন সঙ্কট দেখা দেয়।

নিজের ব্লগে অমিতাভ লেখেন, ১৯৮২ সালের ২ আগস্ট ব্রিজ ক্যান্ডি হাসপাতালে আমি।তখন জীবন আর মৃত্যুর মাঝে দোদুল্যমান। দ্বিতীয় অপারেশনের পর একটা লম্বা সময়ের জন্য আমি অজ্ঞান ছিলাম। কিন্তু সেইসময় ডঃ উদওয়াদিয়া একটা শেষ চেষ্টা করেন অভিনেতাকে বাঁচানোর জন্য। এবারেই মিরাকল হয়ে যায় এবং অভিনেতার দেহে সাড় ফিরে আসে। অসুখকে হারাতে জানেন অমিতাভ বচ্চন। তাই আজও সুস্থ বিগ বি। বর্তমানে করোনাকে হারিয়ে দিব্যি সুস্থ হয়ে গিয়েছেন অভিনেতা।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *